• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

৮ ডিসেম্বরের এই দিনে পিরোজপুর হানাদার মুক্ত হয়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২০  

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ আজ ৮ ডিসেম্বর, পিরোজপুর মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে এই দিনে পিরোজপুর পাকহানাদার মুক্ত হয়। ঘরে ঘরে উড়েছিল লাল সবুজের বিজয় পতাকা। পিরোজপুরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন পিরোজপুর ছিল সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মরহুম মেজর জিয়াউদ্দিনের দায়িত্বে।

১৯৭১ সালের ৪ মে পিরোজপুরে প্রথম পাক বাহিনী প্রবেশ করে। শহরের প্রবেশদ্বার হুলারহাট নৌ-বন্দর থেকে পাকহানাদার বাহিনী শহরে প্রবেশের পথে প্রথমেই তারা মাছিমপুর ও কৃষ্ণনগর গ্রামে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। তারপর ৮ টি মাস স্থানীয় শান্তিকমিটির নেতা ও রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু ও স্বাধীনতা পক্ষের লোকজনদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়। হত্যা করা হয় প্রায় ৩৫ হাজার মুক্তিকামী মানুষকে । সম্ভ্রম হারান  প্রায় ৫ হাজার মা-বোন।

পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সাব-সেক্টর কমান্ডার মরহুম মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল সুন্দরবন থেকে ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টায় পিরোজপুরের দক্ষিণপ্রান্ত পাড়েরহাট বন্দর দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। মুক্তিবাহিনীর এ আগমনের খবর পেয়ে পাক হায়নারা শহরের পূর্বদিকের কচানদী দিয়ে লঞ্চ-স্টীমার যোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ আট মাস অবরুদ্ধ থাকর পর ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর হানাদার মুক্ত হয়।

দেশের বর্তমান মহামারী করোনা এবং সরকারের নির্দেশনার কারনে এ বছর পিরোজপুর মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শহীদ ভাগীরথী চত্তরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে^ পুষ্পমাল্য অর্পণ।  শেষে শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরে  স্বধীনতা মঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিকেলে  প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা।