কোন সুখে বিএনপিকে ভোট দেবে মানুষ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২১
বিএনপিকে কে ভোট দেবে, এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে জিতবে এই বিশ্বাসটা হারিয়ে গেছে। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কোন ভরসায় মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে, কেন দেবে?’
সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন করেন। ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পরেও সাংবাদিকদের ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত সুবিধা পেয়ে গালিটা আমার ওপর দিয়ে বা আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে যাবে- এই তো? এটা আমাদের বাঙালির চরিত্রেই আছে। তাদের ভোট দেবে কে আগে সেটা জিজ্ঞেস করেন। আমি সব সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করি—কারা, কেন, কী কারণে, কোন স্বপ্নে, কী সুখে, কোন আশার আলো দেখে বিএনপিকে বা অন্যদের ভোট দেবে? সেটা আমাকে একটু বলেন; শুনি একটু, জেনে রাখি। আর আমরা দেশের জন্য কিছু করলাম কিনা সেটাও একটু তুলনা করেন।’
তিনি বলেন, ‘অনেক নির্বাচন আপনারা দেখেছেন। এই করোনার মধ্যেও যখন নির্বাচনগুলো বন্ধ হলো এবং যখন শুরু হলো তখন কিন্তু কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। কয়েক দিন আগে যে ইলেকশনটা হয়ে গেলো আপনারা দেখেছেন যে ভোটাররা কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, আপনারা একটা বিষয় কী চিন্তা করে দেখেছেন যে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তা-ই নয়, নির্বাচন যাতে ঠিকমতো না হয় বা মানুষ যাতে না যায় অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে এহেনও কাজ নেই যেটা না করা হয়েছে। তারপরও ইলেকশন হয়েছে এবং ইলেকশন হওয়ার পরে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই কিন্তু আজকে উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছেন। যা করতে চেয়েছি সেটা কিন্তু করা সম্ভব হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এখন যেসব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে, আসলে তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু তাদের প্রশ্ন করা উচিত এই দলের জন্মটা কীভাবে? এই দলটি কি কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত? বা এমন কোনও নেতৃত্ব যে নেতৃত্ব বাংলাদেশে কোনও দিনও জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে বা কিছু করেছে? তা তো না। অত্যন্ত সুবিধাবাদী এবং বলতে গেলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি করা সংগঠন।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা এই দলটাকে তৈরি করেছিল তাদের হাতেই লালিত-পালিত ছিল। যতদিন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে ততদিন পর্যন্ত তারা নির্বাচিত হতে পেরেছে। আমি শুধু বিএনপিকে একটা কথাই বলবো, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তাদের তো কোনও অভিযোগ নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন? এরপরে যতটা নির্বাচন হয়েছে সেখানে মানুষ তো ভোট দিয়েছে। মানুষ ভোট দেয়নি তা তো না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভোট নিয়ে যত কথা। আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম। ইভিএমে ভোট হচ্ছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এরা যেহেতু সব সময় পরভাতে পালিত, এখন সেই জায়গাটা বোধহয় তাদের আর নেই। এজেন্সিগুলোর যে সুযোগ নিয়ে তাদের তৈরি করা হয়েছিল সেই এজেন্সিগুলো এখন যেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় নেই, তাই তাদের নিয়ন্ত্রণও নেই। তারা তাদের সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা তো সেভাবে তাদের ব্যবহার করি না। আমরা দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করি। দল ভাঙা, দল গড়া, দল করার জন্য তো ব্যবহার করি না। তারা সুবিধাগুলো পাচ্ছে না বলে হয়তো ক্ষোভ। তারা জানে যে জিততে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দল কীভাবে জিতবে? তার নেতৃত্ব কোথায়? একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ অগ্নিসন্ত্রাসের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের নেতৃত্বে রেখেছে, তাহলে জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে, আমাকে সেটা বুঝিয়ে বলেন। সাধারণত জনগণ কখন ভোট দেয়? তারা তো দেখে যে ক্ষমতায় যাবে কে। যদি এখন এরকম হয় যে একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, আরেকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি; তারা তো ইলেকশনও করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘ফলাফলটা হচ্ছে যে তাদের ভেতরে যে একটা বিশ্বাস, ইলেকশনে তারা জিতবে বা ক্ষমতায় যেতে পারবে—সেই বিশ্বাসটা তাদের নেই। হারিয়ে গেছে। তারা জানে তাদের কোনও সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা যখন নেই তখন এটাকে যেভাবেই হোক একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল করা। মানুষের ভেতরে একটা বিভেদ সৃষ্টি করা। যেভাবেই হোক মানুষের ক্ষতি করা এটাই তো চেষ্টা। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সেটা অব্যাহত আছে। ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সারা বাংলাদেশে গ্রেনেড হামলা করলো।’
এ সময় কিছু ছবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন তখন কী অবস্থা মানুষের, আতঙ্কে মানুষ। মানুষের জীবনের কোনও নিরাপত্তা ছিল না। বলতে গেলে ১ অক্টোবর থেকে যে অত্যাচার শুরু হলো। যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মানুষকে অত্যাচার করেছে, সেভাবে ধর্ষণ করা, হত্যা করা। সেখানে কেউ সাহস করে মামলা করবে? একমাত্র পূর্ণিমা সাহস করে মামলা করেছিল বলে এলাকা থেকে চলে যেতে হলো। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মারা হলো। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউ তো বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচারের হাত থেকে। তাদের এই সমস্ত অপকর্মের ফলে কী অবস্থা দাঁড়ালো? তারপরে দুর্নীতি। বাংলাদেশ পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। যার ফলে ইমার্জেন্সি আসলো।’
তিনি বলেন, ‘অত্যাচারিত আমি হলাম বেশি। প্রথমবার তো আমাকেই গ্রেফতার করা হলো। তারপর ২০০৮-এ নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিলো। কেন ভোট দিলো? ৯৬ থেকে ২০০১ সালে অন্ততপক্ষে জনগণ এটুকু পেয়েছিল যে সরকার মানে জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০৮-এ আমরা ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। তখনও কত ব্যঙ্গ করা হলো এই কথা নিয়ে। আজকে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়নি? বরং আমাদের এখানে তো আরও চমৎকার সিস্টেম। আমি তো আমেরিকাতেও এরকম ভিডিও কনফারেন্সিং করলাম। আমি তো দেখি সেখানে থেকে আমাদের এখানে অনেক সুন্দর ব্যবস্থা। আমি তো একসঙ্গে সারাদেশে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে পারি। করোনা যখন হয়েছে তখন আমি সেটা করেছি প্রত্যেকটা জেলায় জেলায়।’
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। পঁচাত্তর থেকে ৯৬ আর ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ধরেন মানুষ কী পেয়েছে? সেই তুলনাটা করেন আপনারা। তারপরও বিবেচনা করেন। আমার কাছে তো আর ক্ষমতাটা ভোগের বস্তুও না, শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না।’
- ঝালকাঠিতে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সাথে প্রার্থীদের মতবিনিময়
- বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- গাছপাকা নাকি কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে
- দই দিয়ে রাঁধুন পটলের বিশেষ পদ
- যেভাবে এয়ার কুলার ব্যবহার করলে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হবে
- বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান: কাদের
- রাঙ্গামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফের কর্মীসহ নিহত ২
- নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০৪ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
- শিক্ষার্থীর শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া বাইন মাছ বের হলো অপারেশন করে
- অভিযান শুরু হলে পাহাড়ে অস্ত্র-গোলা লুকিয়ে সমতলে আসেন রহিম
- কান কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত আচরণ, নাম নেই ঐশ্বরিয়ার!
- টেকনাফে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্র্যাস্ট ব্যাংকের শাখায় আগুন
- ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগানোর কড়া নির্দেশ পুলিশের
- ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী
- নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারওয়ান বাজারের আগুন
- স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে
- স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ২২বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩বছর বয়সি স্ত্রী
- শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস
- মুলাদী ও হিজলা উপজেলার ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই অতি গুরুত্বপূর্ণ
- প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আগৈলঝাড়ায় শোভাযাত্রা
- ভোলায় পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস
- ভোলায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী
- ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
- এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
- উন্নয়ন রূপকল্পের অন্যতম পথিকৃৎ শেখ হাসিনা : ধর্মমন্ত্রী
- সৌদি গেলেন ২৭ হাজার হজযাত্রী
- বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হচ্ছে মডিউলার স্টেডিয়াম
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- আম মুরগির ঝোল
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ-যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা
- এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
- হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে