• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিএনপির আমলে ছিল লাগামহীন দুর্নীতি ও বেপরোয়া জবরদখল: জয়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২২  

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের দুর্নীতি ও জবরদখলের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে এক পোস্টে বিএনপি নেতা ও চারদলীয় জোট সরকারের গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেন জয়।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিএনপির শাসনামল: মির্জা আব্বাসের লাগামহীন দুর্নীতি এবং বেপরোয়া জবর-দখল-সন্ত্রাস, এটাই বিএনপির টেক ব্যাক বাংলাদেশ!’

তিনি লেখেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে, টেন্ডার ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রেলওয়ের ২ একর জমি একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেয় গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এই সম্পদের মূল্যের পরিমাণ ছিল তখন কমপক্ষে ৫১ কোটি টাকা। হাওয়া ভবনের নির্দেশে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এই বিএনপি নেতা। অথচ রেলওয়ের জমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনেই নয়, এটি করার আইনগত অধিকার তার নাই। এমনকি যে সমিতির নামে জমিটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে, সেই সমিতির নামও সমবায় অফিসের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সালের ২৮ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাদের জমির ন্যায্য দখল ফিরে পাওয়ার দাবি জানালে, বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে আসে।

জয় আরও লেখেন, ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ছাড়ার আগে এটাই মির্জা আব্বাসের শেষ দুর্নীতি। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে পূর্বাচল সমবায় সমিতির নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ক্যাশ জমা নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। রেলওয়ের মালিকানাধীন ওই জমির একটি অংশে, রেলওয়ের অনুমোদক্রমে একটি প্রতিষ্ঠান লিজ নিয়ে ব্যবসা করছিল, পেশী শক্তি খাটিয়ে তাদেরও সেখান থেকে ভাগিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় রেলওয়ে প্রতিবাদ জানালেও মির্জা আব্বাসের ক্যাডার বাহিনীর প্রতাপের কাছে হেরে যায় তারা।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা লেখেন, বিএনপি আমলে এভাবেই সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি কোথাও। এমনকি সরকারি কর্মচারীদেরও হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসী আচরণ চালিয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াতের এমপি-মন্ত্রীরা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাই-ভাগ্নেসহ অন্যান্য স্বজন এবং মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামেও রাষ্ট্রের ৮০০ কোটি টাকার জমি জালিয়াতি করে দলিল করে দিয়েছিল এই আব্বাস। এমনকি তারেক রহমানের হয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো ঢাকার যে চারজন এমপি, আব্বাস তাদের মধ্যেও অন্যতম।