সারাদেশে রোবটিক্স শিক্ষা পৌঁছে দিতে হবে

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় রোবটিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে এর প্রসার ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও অলিম্পিয়াড আয়োজনের মাধ্যমে রোবটিক্স শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি শহর থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যদি আমরা রোবটিক্স শিক্ষা পৌঁছে দিতে হবে। এতে করে বাংলাদেশের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠবে রোবটিক্স।

শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মোস্তাফা বেগম গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুনীর চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মাধ্যমে রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামসহ সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোবটিক্স শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরীফ উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াডের প্রথম পর্বের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম ইব্রাহিম কবির, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহিউদ্দিন মাহী, মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ. কে. এম ফজলুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের আয়োজনে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের পরিচালনায় দিনব্যাপী এ সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মিউজুবাস প্রদর্শনী, রোবটিক্স কুইজ প্রতিযোগিতা, রোবট প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা, রোবট তৈরিকরণ ওয়ার্কসপ, ফুটবট প্রতিযোগিতা ও ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে অলিম্পিয়াডে উপজেলার ৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।