• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রাজনৈতিক চক্রান্তের ফল বিতর্কিত দিন ৭ নভেম্বর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

দেশের রাজনীতিতে আলোচিত-সমালোচিত-বিতর্কিত দিন ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এদিনের ঘটনা জাতীয় জীবনে যে ওলট-পালট অবস্থার সৃষ্টি করে, তার রেশ থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় নভেম্বর ট্র্যাজেডিতে সৃষ্ট বিরাট শূন্যতাও পূরণ হয়নি গত ৪৭ বছরে। 

পঁচাত্তরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খুনিচক্রের নজিরবিহীন বর্বরতা যে সুদূরপ্রসারী ও গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের ফল সেটি পরবর্তী ঘটনাবলীতে স্পষ্ট।  ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অস্থির সময় পার না হতেই ৩ নভেম্বর জেলখানার ভেতরে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। তারও আগে থেকেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলছিল উত্তেজনা। 

জাতীয় চার নেতা হত্যার পর সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ। 

পরদিন পাল্টা অভ্যূত্থানে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ, কে এন হুদা এবং এ টি এম হায়দারকে। রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ, জিয়াউর রহমান মুক্তি পেয়ে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। ফাঁসি দেয়া হয় কর্নেল তাহেরকেও।   

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন উর রশিদ বলেন, “খন্দকার মোশতাক এবং জিয়ার রহমনের মধ্যে আদর্শিক কোনো বিরোধ নাই কিন্তু ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আছে। চরম একটা অস্থির সময়ে এ দিন দুটি ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর অফিসারদের জীবন গেছে, তাদের স্ত্রীদের জীবন গেছে, অনেক সৈনিক জীবন হারিয়েছে এবং জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে সুসংহত করেছে। কাজেই এটা যদি হয় সৈনিক হত্যা দিবস, সে হিসাবে আসলে চিহ্নিত করাই হবে যথার্থ।”

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিচার সম্পন্ন করে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে ঠিকই কিন্তু দিনটি ইতিহাসের কলঙ্ক। সত্য উদঘাটন করে ওই সময়ের হত্যাযজ্ঞের বিচার হওয়া দরকার বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।

হারুন উর রশিদ বলেন, “তদন্ত কমিশন যেটা হওয়ার কথা বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকে কেন্দ্র করে তার টার্ম অব রেফান্সের মধ্যে জেলহত্যা, ৭ই নভেম্বরের ঘটনাগুলো যুক্ত হতে পারে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যত সেনাসদস্যদের হত্যা করেছে তার প্রত্যেকটা পরিবারের ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত, সাংবিধানিক অধিকার আছে বিচারের দাবি করা।”

ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে যাকেই পথের কাঁটা ভেবেছেন তাকেই সরিয়ে দিয়েছেন জিয়া। পঁচাত্তরের ইতিহাস তারই সাক্ষী বলেও মন্তব্য বিশিষ্টজনদের।