• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নতুন অবস্থানপত্র তৈরি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২  

বৈশ্বিক শক্তির ভরকেন্দ্র পশ্চিমা দুনিয়া থেকে এশিয়ার দিকে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। চীন, ভারত, আসিয়ানের উত্থান এবং বাংলাদেশের মতো আরও কিছু মধ্যবর্তী দেশের অর্থনৈতিক শক্তির কারণে এশিয়ার দিকে ঝোঁক বাড়ছে সবার। নতুন প্রেক্ষাপটে সুমদ্র, অর্থাৎ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের গুরুত্ব এখন সবার কাছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ এই অঞ্চলকে ঘিরে তাদের কৌশলপত্র ঘোষণা করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর দেশের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির বিপরীতে চীনের কৌশল হচ্ছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ যা আরও বিস্তৃত।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করেছে এবং এর রূপরেখা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের ১২টি দেশ আলোচনা শুরু করেছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক আলোচনায় যুক্ত না হলেও বিষয়টির বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।

সরকারের পক্ষ থেকে সব সময় বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের মঙ্গলের জন্য যে কোনও ধরনের অর্থনেতিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। কিন্তু কোনও ধরনের সামরিক জোট বা ব্যবস্থায় সামিল হতে রাজি নয় দেশটি।

ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে এবং একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে একটি অবস্থানপত্র তৈরি করেছিল। আমাদের তৈরি করা পেপারে যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো উল্লেখ ছিল, সেগুলোর বেশ কিছু জিনিস নতুন ফ্রেমওয়ার্কে উল্লেখ করা আছে। সুতরাং নতুন করে একটি অবস্থানপত্র তৈরি করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্কে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হয়েছে। ফলে নতুন যে বিষয়গুলো আছে সেটি নিয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’

অর্থনৈতিক প্লাস

অর্থনৈতিক বিষয়ের মধ্যেও কিছু কৌশলগত উপাদান থাকে এবং সেগুলোকে পাশ কাটাতে চায় না বাংলাদেশ। দেশের মঙ্গলের জন্য বাংলাদেশ ওই উপাদানগুলোকে নিজেদের কৌশলের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখানে আমরা অর্থনৈতিক প্লাস বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি। অর্থনীতির সঙ্গে কিছু কৌশলগত বিষয় রয়েছে। যেমন কানেক্টিভিটি অর্থনেতিক বিষয় হলেও এটিকে কৌশলগত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার ইন্দো-প্যাসিফিকে বলা হয়েছে, অবাধে চলাচলের সুবিধা বা সুমদ্রেপথে চলাচলের অধিকার বিষয়গুলো। এগুলো কেউ নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারে। কিন্তু এগুলো কৌশলগত বিষয়।’

নিরপেক্ষ অবস্থান

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে ২০১৬ সালে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিকের অর্থনৈতিক উপাদানে ইতিবাচক মনোভাব রাখে সরকার। এ অবস্থায় বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ অঞ্চল নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিরাপত্তাভিত্তিক নয়। আমরা চাই অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন।

এ অঞ্চল নিয়ে বৃহৎ শক্তিদের বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে এবং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ এখানে কোনও পক্ষ বেছে নিতে চায় না, বরং সবার সঙ্গে কাজ করতে চায় বলে তিনি জানান।