• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে

ভোলায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৫টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জেলার চরফ্যাসন ও তজুমোদ্দিন উপজেলায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে চরফ্যাসনে ৪টি ৪০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ও তজুমোদ্দিনে ১টি ১০ এমভিএ উপ-কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উদ্যোগে চরফ্যাসনের ৪টির মধ্যে দুটির কাজ চলমান রয়েছে, একটির টেন্ডার পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ও অন্যটির টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে। একইসাথে তজুমোদ্দিনের উপ-কেন্দ্র নির্মাণের কাজের টেন্ডার অচিরেই শুরু করা হবে।
এছাড়া বর্তমান সরকারের গত ১১ বছরে জেলা সদর, লালমোহন, বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাসন উপজেলায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৭টি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র  নিশ্চিত করেছে।
সূত্র আরো জানায়, চরফ্যাসনের ৪টির মধ্যে চর কুকরী-মুকরীতে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র নির্মাণের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগ্রই এর কাজ শুরু করা হবে। মুজিবনগরে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উপ-কেন্দ্র নির্মাণের টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে। দুলারহাটে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ ১০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। দক্ষিণ আইচায় ৮ কোটি টাকার কাজের অগ্রগতি ৭ ভাগ এবং তজুমোদ্দিন উপজেলায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে উপ-কেন্দ্র নির্মাণের টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসব বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয়ভাবেই বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। ফলে পল্লী এলাকায় আবাসিক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প-কল-কারখানা গড়ে উঠবে বিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে। মূলত সরকার মুজিব বর্ষের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের যে উদ্যেগ গ্রহণ করেছে, সেই কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে এসব উপ-কেন্দ্রে’র সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ, এমনটাই মনে করছেন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো: আবুল বাশার আজাদ বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ভোলাতে মাত্র ৩০ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের সুবিধা ছিলো। বর্তমানে তা ১’শ এমভিএ তে পূর্ণতা পেয়েছে। এছাড়া চলামান ৫টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হলে আরো ৫০ এমভিএ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে এসব কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হবে। এতে গ্রাহকের বিদ্যুৎ সুবিধা ত্বরান্বিত হবে এবং আগামী ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে এসব এলাকায় বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান তিনি।