একই পথে থাকতে হবে রাজস্ব ও মুদ্রানীতি- আইএমএফের পরামর্শ
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২২
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশে পুরোপুরি ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেনি। সংস্থাটির ঢাকা সফররত মিশন গত কয়েক দিনে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছে, এই মুহূর্তে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষত তাদের খাদ্য সহায়তায় সরকারকে বাজেট থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। তবে এ ভর্তুকি হতে হবে ক্ষণস্থায়ী এবং লক্ষ্যনির্দিষ্ট। ধনী-গরিব সবাইকে নির্বিশেষে ভর্তুকি দিয়ে বাজেটকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে ফেলা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ভারসাম্য রক্ষায় রাজস্ব বা আর্থিক নীতি এবং মুদ্রানীতিকে একই পথে চলতে হবে। দুই নীতির মধ্যে যথাযথ সমন্বয় থাকতে হবে। আইএমএফ চায়, দুটি নীতিই এই মুহূর্তে সংকোচনমূলক থাকুক। কারণ আগে মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খাদ্য ও কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাপারে সংস্থাটির তেমন আপত্তি নেই। জ্বালানি খাতেও সব ভর্তুকি একবারেই তুলে দিতে হবে- ঋণের জন্য এমন শর্তের কথাও তাঁরা বলেননি। আইএমএফ চায়, ভর্তুকি দেওয়া হোক অসুবিধাগ্রস্ত মানুষকে, যারা সরকারি সহায়তা ছাড়া এই মুহূর্তে বড় সংকটে পড়ে যাবে। তারা ভর্তুকির পদ্ধতিতে সংস্কার চেয়েছে। সরকারি সহায়তা যারা পায়, তাদের তালিকা করার ক্ষেত্রে অধিকতর স্বচ্ছতা চেয়েছে।
বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা, বাজেট সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্নিষ্ট প্রায় সব সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে। কাল থেকে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে তারা। আগামী ৯ নভেম্বর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বিবৃতি দেবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন খাতে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়, যা এর আগের অর্থবছরের প্রকৃত খরচের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। তবে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়া, পণ্যের সরবরাহ সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতির কারণে সরকার আমদানিতে লাগাম টানা, পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় কমানোসহ কৃচ্ছ্র সাধনের কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় গত আগস্ট মাসে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়। তেলের দাম বাড়ানোর পর বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কিনা- তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। জানা গেছে, আইএমএফ প্রতিনিধি দল মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে
রাখতে বাংলাদেশকে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এমন নীতিই অনুসরণ করছে। কয়েক দফায় নীতি সুদহার (রেপো) বাড়ানো তার প্রমাণ। তবে এ বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণ হলো, সুদের হারে সীমা আরোপ রেখে শুধু নীতি সুদহার বাড়িয়ে সামগ্রিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। মূল্যস্ম্ফীতি যেহেতু ঊর্ধ্বমুখী, সেহেতু সুদের হার বাজারভিত্তিক হতে হবে। কেননা ভোগ্যপণ্য ক্রয় কিংবা ব্যক্তিগত ঋণ তুলনামূলক সস্তা থাকলে চাহিদা দমন করা যাবে না। অন্যদিকে সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের পদক্ষেপ যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা নিবিড়ভাবে তদারকির পরামর্শ দিয়েছে প্রতিনিধি দল। তারা বলেছে, উন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করার ঘোষণা কার্যকর হচ্ছে কিনা- তা নিয়মিত পর্যালোচনার মধ্যে রাখতে হবে। পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। রাজস্ব নীতি এবং মুদ্রানীতি- দুটিকেই এই মুহূর্তে সংকোচনমূলক রাখতে হবে।
আইএমএফের এসব পরামর্শের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিষ্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক রাখা দরকার। সে ক্ষেত্রে যদি রাজস্বনীতি সম্প্রসারণমূলক হয়ে যায়, তাহলে মুদ্রানীতি ঠিকমতো কাজ করবে না। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে বাজেট ঘাটতি যাতে না বাড়ে সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। রাজস্ব বাড়িয়ে এবং প্রয়োজনে কিছু জায়গা থেকে ভর্তুকি কমিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে জরুরি আমদানির জন্য ইতোমধ্যে রিজার্ভ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। সব আমদানিই এই মুহূর্তে জরুরি ছিল কিনা- তা পর্যালোচনার দরকার রয়েছে।
ভর্তুকি কোথায় সমন্বয় করা যেতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কভিডের সময় ভর্তুকি সুদে ঋণ দেওয়ার যে কার্যক্রম শুরু হয়, তা এখনও বহাল আছে। এ ভর্তুকির আওতায় শুধু ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান রেখে মাঝারি এবং বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। বিনিময় হার মোটামুটিভাবে বাজারভিত্তিক হওয়ায় ডলারের দর অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে রেমিট্যান্সের ওপর ভর্তুকি তুলে দেওয়া যেতে পারে। রপ্তানির বিভিন্ন খাত বহু বছর ধরে ভর্তুকি পাচ্ছে। এখানে কিছু সংস্কার আনা যেতে পারে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার কৌশল নির্ধারণ করা যেতে পারে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ব্যবহার হলে সেখানে ভর্তুকি তুলে দেওয়া যেতে পারে। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে লক্ষ্যনির্দিষ্ট ভর্তুকি দেওয়া জটিল বিষয়। তারপরও কৃষি কার্ডের মতো কোনো ব্যবস্থা করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে জ্বালানি তেল দেওয়া যেতে পারে। তবে কৃষি ও খাদ্যে ভর্তুকি রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। মূল কথা, ভর্তুকির উদ্দেশ্য থাকতে হবে সামাজিক সুরক্ষার। সবাইকে ভর্তুকি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন অর্থনীতির নেই।
- ঝালকাঠিতে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সাথে প্রার্থীদের মতবিনিময়
- বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- গাছপাকা নাকি কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে
- দই দিয়ে রাঁধুন পটলের বিশেষ পদ
- যেভাবে এয়ার কুলার ব্যবহার করলে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হবে
- বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান: কাদের
- রাঙ্গামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফের কর্মীসহ নিহত ২
- নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০৪ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
- শিক্ষার্থীর শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া বাইন মাছ বের হলো অপারেশন করে
- অভিযান শুরু হলে পাহাড়ে অস্ত্র-গোলা লুকিয়ে সমতলে আসেন রহিম
- কান কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত আচরণ, নাম নেই ঐশ্বরিয়ার!
- টেকনাফে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্র্যাস্ট ব্যাংকের শাখায় আগুন
- ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগানোর কড়া নির্দেশ পুলিশের
- ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী
- নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারওয়ান বাজারের আগুন
- স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে
- স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ২২বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩বছর বয়সি স্ত্রী
- শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস
- মুলাদী ও হিজলা উপজেলার ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই অতি গুরুত্বপূর্ণ
- প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আগৈলঝাড়ায় শোভাযাত্রা
- ভোলায় পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস
- ভোলায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী
- ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
- এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
- উন্নয়ন রূপকল্পের অন্যতম পথিকৃৎ শেখ হাসিনা : ধর্মমন্ত্রী
- সৌদি গেলেন ২৭ হাজার হজযাত্রী
- বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হচ্ছে মডিউলার স্টেডিয়াম
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- আম মুরগির ঝোল
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ-যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা
- এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
- হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে