• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে

অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যে কারণে বিপজ্জনক

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২৪  

কথায় কথায় অনেকের মধ্যেই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা আছে। অল্প একটু ঢেকুর উঠলে কিংবা বমি ভাব, বদহজম বা গ্যাস হলেই এ ধরনের ওষুধ খান কমবেশি সবাই। তবে এ ধরনের ওষুধ শরীরে আরও গভীর সমস্যা তৈরি করতে পারে। একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে গ্যাসের ওষুধ।

গত বছর আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজির তরফে একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির কথা। গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা যাদের মধ্যে বেশি, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও বেশি।

আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজিতে গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্সের (জিইআরডি) কথা বলা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ সমস্যা যাতে খাদ্যনালির চেহারা বেশ কিছুটা বদলে যায়। জিইআরডি রোগের জন্য অনেককেই ওষুধ খেতে হয়।

সেই ওষুধটি যারা বেশি খান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি দেখা গিয়েছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের কারণেই ডিমেনশিয়া হচ্ছে, এমনটা বলা হচ্ছে না।

গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ

এটি খাদ্যনালির একটি বিশেষ সমস্যা। পাকস্থলির মধ্যে অনেকটা অ্যাসিড থাকে। খাদ্যনালি যেখানে পাকস্থলির সঙ্গে মেশে, সেখানে একটি ভালভ থাকে।

এই ভালভ পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালিতে উঠে আসতে দেয় না। কিন্তু ভালভটি নষ্ট হয়ে গেলে খাদ্যনালিতে অ্যাসিড উঠে আসে। যার ফলে গলা ও বুক জ্বালা হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হয়।

ড্রাগ রেসিসটেন্স

এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সমস্যা। চিকিৎসকরা প্রায়ই এই সমস্যার কথা বলেন। দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কোনো ওষুধ খেকলে ধীরে ধীরে সেই ওষুধের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে থাকে। এমনকি ওষুধের প্রভাব কমতে থাকে একসময়। পরে ওষুধ নিস্ক্রিয়ও হয়ে পড়ে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের ওষুধ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

একাধিক গ্যাসের ওষুধে মাথাব্যথা হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এছাড়া অতিরিক্ত অ্যান্টি বায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একই সঙ্গে গ্যাসের ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। যার মধ্যে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব অন্যতম।