• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ফখরুলের অদক্ষতাই সাংগঠনিকভাবে কোণঠাসা বিএনপি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২০  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৎ এবং নির্ভরযোগ্য লোক হলেও তার সাংগঠনিক দক্ষতা নেই বলে মনে করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা।

তারা বলছেন, অতীতে বিএনপিতে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, মান্নান ভূঁইয়াসহ আরো অনেকেই মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ক্যারিশমেটিক লিডার ছিলেন। তাদের মাধ্যমে যেকোনো সময় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু বর্তমান মহাসচিবের সেই কর্মদক্ষতা নেই। তিনি দলের মধ্যে একজন পুতুল মহাসচিব। তার ভূমিকা ডাকবাক্সের মতো। 

লন্ডন থেকে যে নির্দেশ আসে, সেটাই তার অনুমোদন দিতে হয়। বিদেশ থেকে যে ওহী আসবে তা নিয়েই তাকে কাজ করতে হবে। ‌কিন্তু ওই ওহী যে রাজপথের আন্দোলনে কোনো সুবিধা করতে পারবে না সেটি দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও জানেন।

দল এতটাই এলোমেলো যে বিগত সময়ে বিএনপির সহযোগী ছাত্রদল, যুবদলসহ যেসব সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছে। অফিসের সামনে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে। নেতাদের অবরুদ্ধ রেখেছেন। এমন কি নেতাদের অনেকেই জানেন না কীভাবে এসব কমিটি হয়। কীভাবে কারা কমিটির নেতৃত্বে আসেন। অথচ এর দায় এসে পড়ে তাদেরই উপরে।

এ বিষয়ে একাধিক বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, মির্জা ফখরুল তো বিএনপিতে একটি পুতুল মহাসচিব। তার আলাদা কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি ইচ্ছা করলে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

তারা বলেন, তিনি বিএনপির একজন অভিভাবক, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তিনি তার সেই পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না। মানববন্ধন কর্মসূচির মতো অনুষ্ঠান থেকে কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়, কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেন না। এমন অবস্থায় তার প্রতি কর্মীদের কি আস্থা থাকতে পারে?

বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, লন্ডন থেকে পাঠানো ওহীর জন্য বসে থাকবেন না। সংকটপূর্ণ মুহূর্তে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করুন। দল পরিচালনা করবেন না নিজের দক্ষতায়।

‘বিএনপিতে অনেক দক্ষ ও চৌকস নেতা আছে। তাদের বসিয়ে না রেখে দায়িত্ব দিন। লন্ডনের বার্তা নিয়ে আন্দোলনে সফল হওয়া যাবে না। প্রত্যেকেই বিএনপিকে নিজের ভাবার চেষ্টা করুন। কেননা এই দলের সঙ্গে শুধু জিয়া পরিবারই নয় আপনাদের প্রত্যেকের পরিবার জড়িত।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, বর্তমান মহাসচিবের সাংগঠনিক কোন দক্ষতা নেই। তিনি এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন না। পদ-পদবি হারানোর ভয়ে তিনি মুখ খোলেন না।

‘এছাড়াও তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। দেখেছি এর আগে অনেক মহাসচিব ছিল তারা দলের দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন একক সিদ্ধান্তে। কিন্তু বর্তমান মহাসচিবের সেই কর্মদক্ষতা নেই।’

সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আরো অনেক আগেই হতো। বর্তমান মহাসচিবের রাজনৈতিক অদক্ষতার কারণে তার মুক্তি এতো বিলম্বিত হয়েছে। তিনি নিজেই হতাশাগ্রস্ত, কিভাবে এই সংকট থেকে বিএনপিকে মুক্ত করবেন। তিনি কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন না। তিনি কোনো আশ্বাস দিতে পারেন না। নেতাকর্মীদের কোনো সাহস জোগাতে পারেন না। শুধু রাজনীতির মাঠে ফুল ছড়ানো বক্তব্য দিলেই নেতা হওয়া যায় না, নেতা হতে হলে সাংগঠনিক দক্ষতার প্রয়োজন।