• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

স্ত্রী’র দাবি নিয়ে বিএনপি নেতার বাড়িতে ভারতীয় নারী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২০  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার মেয়ে মলির পরিচয় হয় বাংলাদেশি মনিরুল আহসান তালুকদারের সঙ্গে। এরপর দুইজনের সম্পর্ক ভালোবাসায় গড়ায়। এরপর বিয়ে। মলি জানান, ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে স্বামীর কথামত হিন্দু ধর্মত্যাগ করে তিনি। নাম রাখা হয় মলি আহসান তালুকদার। এরপর দুইজনের সম্পর্ক  ভালোই চলছিল। এভাবে কেটে যায় প্রায় সাত বছর।

মলি জানান, গত বছরের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন স্বামী মনিরুল আহসান তালুকদার। এরপর আর ভারতে ফিরে যায়নি। যোগাযোগও করেনি। তাই স্বামীর খোঁজ নিতে তিনবার আসেন বাংলাদেশে। সবশেষ ১৩ মার্চ আবারও বাংলাদেশে আসেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বামীর ঠিকানার সন্ধান পান। বাসায় গিয়ে দেখেন এখানে তার বউ সন্তান রয়েছে। মনিরুল তাকে দেখে অবাক হন। অস্বীকার করেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ।

বিষয়টি সমাজের সচেতন মানুষদের জানানো হলে তার মীমাংসার পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু এ তিন মাসেও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রথমে কিছুদিন স্বামীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলেও এখন সেটিও বন্ধ।

মলির অভিযোগ, তিনমাসের বেশি সময় ধরে ঢাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। কলকাতাতেও ফিরে যেতে পারছেন না লোকলজ্জার ভয়ে। নিজের সঙ্গে এমন প্রতারণার বিচার দাবি করেছেন তিনি।

মলি আরও জানান, তার বাবা চট্টগ্রামের। মা কলকাতার। তাদের দুই জায়গায় বাড়ি রয়েছে। গার্মেন্টের ব্যবসা করেন তিনি। তার স্বামী বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে পালিয়ে কলকাতায় গাঁ ঢাকা দেয়। তখনই তাদের বিয়ে হয়।

এই ভুক্তভোগী নারী জানান, তার সরলতার সুযোগে তার কাছ থেকে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন তার স্বামী। সেগুলো ফেরত দেয়নি। তিনি জানান, টাকা নয়, স্বামীর অধিকারের দাবি নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।