ঘুরেফিরে ‘কট্টরপন্থী’ মামা-ভাগনের হাতেই হেফাজতের নাটাই
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা করা হয় পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি, যারা সবাই আগের কমিটিতে ছিলেন। যেখানে আবারও স্থান পেলেন কট্টরপন্থী মামা-ভাগনে জুনায়েদ বাবুনগরী ও মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীই আবার আহ্বায়ক। এমনকি সদ্যসাবেক প্রধান উপদেষ্টা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীই আবার প্রধান উপদেষ্টা। দুজনের বাড়িই ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে। দুজনের পদবিই বাবুনগরী। সম্পর্কেও তারা মামা-ভাগনে।
জুনায়েদ বাবুনগরী ও মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ‘চরম কট্টরপন্থী’ হিসেবে পরিচিত। রোববার দিবাগত গভীর রাতে তড়িঘড়ি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে এবং তাতে ঘুরেফিরে সংগঠনটির আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা পদ ধরে রেখে কার্যত সংগঠনের কর্তৃত্বই ধরে রেখেছেন। এ নিয়েও নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুনায়েদ বাবুনগরী সামনে থাকলেও হেফাজতে মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীরও প্রভাব কম নয়। আহমদ শফীর পর বয়সসহ বিভিন্ন কারণে কওমী ঘরানার আলেমরা মুরুব্বি মানেন প্রভাবশালী এই হেফাজত নেতাকেই। তাকে সম্মান ও সমীহ করার পাশাপাশি তার নির্দেশনা-পরামর্শকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নেন নেতাকর্মীরা। অশীতিপর হলেও সংগঠনে তার বেশ দাপট। পেছনে থেকে সংগঠনে কলকাটি নেড়ে থাকেন ‘চরম কট্টর’ এ নেতা!
ভেঙে দেওয়া কমিটির মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির সদস্য করা হয়েছে- সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে। এরমধ্যে নুরুল ইসলাম ঢাকার এবং সালাহউদ্দীন গাজীপুরের। কমিটি ভেঙে এভাবে নেতৃত্ব ধরে রাখাকে জাতি তথা আলেম-ওলামাদের সঙ্গে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত আহমদ শফীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত মঈনুদ্দিন রুহী।
হেফাজতের একাংশের যুগ্ম মহাসচিব রুহী নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকেও তথাকথিত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কৌশলে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব কার্যত নিজেদের হাতেই ধরে রেখেছেন। তারা এটা করে আবারও জাতিকে ধোঁকা দিয়েছেন। এ কমিটির কোনো বৈধতা নেই। শাহ আহমদ শফী মৃত্যুর আগে যে কমিটি করে দিয়েছিলেন, সেটিই বৈধ কমিটি। যারা হেফাজতকে আদর্শ থেকে লক্ষ্যচ্যুত করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে এবং শূন্যপদে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের যোগ করে শিগগির কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের এক নেতা বলেন, হেফাজতের দুই বাবুনগরী খুবই কট্টর প্রকৃতির মানুষ। তাদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হেফাজতকে এখন মাশুল দিতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংগঠনটির অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে স্মার্ট নেতৃত্ব ও কৌশল অবলম্বনের বিকল্প নেই।
হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আলোচিত হেফাজত নেতা মাওলানা আনাস মাদানী বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। ঈদের আগে তার দেশে ফেরার কথা। তিনি ফেরার পর আহমদ শফী অনুসারীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে সমকালকে জানিয়েছেন মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী।
আহমদ শফী মারা যাওয়ার আগে যে কমিটি ছিল সেটাকেই এখনও বৈধ কমিটি হিসেবে দাবি করছেন তার অনুসারীরা। কিন্তু সেই কমিটির মহাসচিব ছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এছাড়া আহমদ শফীর আমিরের পদসহ অনেক পদ শূন্য। মূলত সেই কমিটিকেই চাঙা করতে চাইছেন আহমদ শফী অনুসারীরা। যদিও জুনায়েদ বাবুনগরীকে নিয়েই যত সমস্যা! এরপরও সবাইকে নিয়েই; সংগঠন চালানোর উদ্দেশ্য থেকে তাকেও রেখে কার্যক্রম চালাতে চাইছেন আহমদ শফী অনুসারীরা। তবে তিনি কোনো কারণে অপারগতা প্রকাশ করলে বিকল্প চিন্তা মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুহী।
রোববার দিবাগত রাতে হেফাজতে ইসলামের যে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি গঠন করা হয়েছিল গতবছরের ১৫ নভেম্বরে। এ কমিটির আমির নির্বাচিত হয়েছিলেন হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসাইন কাসেমী। যিনি পরে করোনায় মারা যান। তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে। আহ্বায়ক কমিটিতে তাকেই সদস্য সচিব করা হয়েছে।
২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। শুরুর দিকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব থাকলেও শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বড় দাগে আলোচনায় আসে সংগঠনটি।
হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফী মারা যাওয়ার পর অরাজনীতির মোড়কে রাজনৈতিক সংগঠনে রূপ নিতে থাকে এটি। এরইমধ্যে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু নেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এমন চাপের মুখে কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনে বাধ্য হয় হেফাজতে ইসলাম।
দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা হেফাজতের নেতারা গত বছরের শেষ দিকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতায় নেমে ফের আলোচনায় আসে। সংগঠনটির নেতা মামুনুল হক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। পরে তিনি হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের পদ পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদকও হন।
গত মাসের শেষ দিকে মোদীর সফরের বিরোধিতায় নেমে নতুন করে আলোচনায় আসে হেফাজত। সংগঠনটির বিক্ষোভ ও হরতালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
এরপর অর্ধশত মামলার পর মামুনুলসহ হেফাজতের ডজন খানেক কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, হেফাজত নেতারা নাশকতার বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিলেন, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল।
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান