ইসলামে ঋণের বিধি-বিধান
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০
ঋণের আরবি শব্দ ‘কার্য’, যা প্রচলিত বাংলা ভাষায় কর্য নামে পরিচিত। এর বাংলা সমার্থবোধক শব্দ হচ্ছে, দেনা, ধার, হাওলাত ইত্যাদি। ঋণ-কর্য মানুষের তথা সমাজের একটি প্রয়োজনীয় লেনদেন। সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তি জীবন-যাপন করার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো সময় ঋণ নেয়ার কিংবা অন্যকে দেয়ার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে এই মানবীয় সুন্দর নিয়ম এবং অপরকে সহযোগিতা করার এই ইসলামি সুপ্রথাও অনেক সময় কুমতলবীর চক্রান্তে ও মায়াজালে ফেঁসে বিদ্বেষ, ঝগড়া-ঝাঁটি এমনকি বড় রকমের শক্রতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আর অনেকে তো এই ঋণ প্রথাকেই পুঁজি করে অর্থ জমা করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বে পুঁজিপতি হয়েছে ও হচ্ছে। আর দরিদ্র্য সম্প্রদায় তাদের মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে ঋণের জাঁতায় পিষ্ট হচ্ছে।
আমরা এই প্রবন্ধে ইসলামে ঋণের বিধি-বিধান সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করব-ইন্শা-আল্লাহ! যেন ঋণের সঠিক বিধান জানতে পারি এবং বেঠিক বিধান হতে নিরাপদে থাকতে পারি। ওয়ামা তাওফীক্বী ইল্লা বিল্লা।
শরীয়তের পরিভাষায় ঋণ: মাল-পণ্য অপরকে প্রদান করা, যেন তার মাধ্যমে সে উপকৃত হয়, অতঃপর দাতাকে সেই মাল কিংবা তার অনুরুপ ফেরত দেয়া। (ফিকহ্ বিশ্বকোষ-খণ্ড: ৩৩,পৃ: ১১১)।
ঋণের বৈধতা: ঋণ প্রথা বৈধ, যা সুন্নত এবং ইজমা (ঐক্যমত) দ্বারা প্রমাণিত। (মুগনী-ইবনু কুদামাহ্ ,৬/৪২৯)।
নবী করিম (সা.) একদা এক উষ্ট্রী ধার নেন এবং ফেরত দেয়ার সময় সেই সমগুণের উষ্ট্রী না পাওয়ার তার থেকে উত্তম গুণের পুরুষ উট ফেরত দেন এবং বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে উত্তম ঋণ পরিশোধকারী ‘ (সহিহ বুখারী-অধ্যায়: ইস্তিকরায,হা: ৩২৯০)।
ঋণযোগ্য দ্রব্য: অর্থাৎ কী কী জিনিস ঋণ যোগ্য, যা ঋন হিসেবে আদান-প্রদান করা যেতে পারে? এ বিষয়ে ফুকাহাদের মতভেদ বিদ্যমান। তবে নির্ভরযোগ্য মত হচ্ছে, প্রত্যেক এমন বস্তু যা বিক্রিয় করা বৈধ, তা ঋণ দেয়াও বৈধ। (যাদুল মুস্তাক্বনা -হিজাভী/২১২)।
ঋণ প্রদানের ফজিলত: ঋন প্রদান একটি নেকির কাজ, যার মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। এর মাধ্যমে লোকের সাহায্য করা হয়, তাদের প্রতি দয়া করা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হ্রাস করা হয় কিংবা সমাধান করা হয়।
নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনা মুসলিম ব্যক্তির দুনিয়াবী বিপদ দূর করবে আল্লাহ তায়ালা তার আখিরাতের বিপদ দূর করাবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর কষ্ট সহজ করবে, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও
আখিরাতে তার কর্ম সহজ করবেন। আল্লাহ তায়ালা বান্দার সাহায্য করেন যতক্ষণে বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে।’(সহিহ মুসলিম-অধ্যায়: যিকর, দোয়া, তাওবাহ ও ইস্তিগফার)।
নবী (সা.) আরো বলেন,‘যে কেউ কোনো মুসলিমকে দুই বার ঋণ দেয়, তা সেই অনুযায়ী এক বার সাদাক্বাহ করার মতো।’ (সুনান ইবনু মাজাহ -সূত্র: হাসান, ইরওয়াউল গালীল-হা: ১৩৮৯)।
ঋণ লেন-দেনে মেয়াদ নির্ধারণ: বিষয়টির ব্যাখ্যা হচ্ছে, ঋণ দাতা এবং ঋণ গ্রহীতা লেন-দেনের সময় একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারে কি পারে না? সঠিক মত হচ্ছে, মেয়াদ নির্ধারিত করতে পারে এবং প্রয়োজনে মেয়াদ বৃদ্ধিও করতে পারে। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধারে কারবার করবে, তখন তা লিখে রাখবে।’(সূরা: আল বাক্বারাহ, আয়াত: ২৮২)।
অতঃপর মেয়াদ নির্ধারিত থাকলে ঋণদাতা নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ঋণ গ্রহীতার নিকট থেকে ঋণ ফেরত নেয়ার দাবী করতে পারে না। বরং সে নির্ধারিত মেয়াত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বাধ্য। কারণ নবী (সা.) বলেন,‘মুসলিমরা শর্ত পূরণে বদ্ধপরিকর।’ (মুসনাদ আহমাদ, সুনান আবূ দাউদ, সুনান আত তিরমিযী)।
ঋণের মাধ্যমে লাভ অর্জন: ইসলামে ঋণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষকে সাহায্য করা, তাদের প্রতি দয়া করা তথা তাদের জীবন-যাপনে সহযোগিতা করা,সহযোগিতার আড়ালে সুবিধা অর্জন নয়। তাই বলা হয়েছে ঋণের উদ্দেশ্য হবে আধ্যাতিক বৃদ্ধি বাহ্যিক বৃদ্ধি নয়। আর তা হচ্ছে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এই কারণে ঋণ গ্রহীতা ঋণ ফেরত দেয়ার সময় যা নিয়েছে তা কিংবা সেই অনুরুপ ফেরত দিতে আদিষ্ট, অতিরিক্ত নয়। ঋণ দাতা এর অতিরিক্ত নিলে কিংবা ঋণ গ্রহীতা অতিরিক্ত ফেরত দিলে, তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। কারণ ফিক্হী মূলণীতিতে উল্লেখ হয়েছে-
‘কুল্লু কার্যিন জারা নাফ্আন ফাহুআ রিবা।’
অর্থাৎ- ‘প্রত্যেক ঋণ, যার মাধ্যমে লাভ উপার্জিত হয়, তা সুদ।’
প্রকাশ থাকে যে উপরোল্লিখিত ফিক্হী মূলণীতিটি হাদিস হিসাবে য‘ঈফ (দুর্বল)। (দেখুন: ইরওয়াউল গলীল- আলবানী, হা: ১৩৯৮)।
তবে কায়েদা ফিকহিয়্যাহ (ফিক্হী মূলণীতি) হিসেবে স্বীকৃত।
ঋণের মাধ্যমে লাভের উদাহরণ-
(ক) কাউকে এক হাজার টাকা ধার দেয়া এবং ফেরত নেয়ার সময় বেশি নেয়া। এটা স্পষ্ট সুদ।
(খ) কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে ঋণ দেয়া এই উদ্দেশ্যে বা এই শর্তে যে ঋণ গ্রহীতা ঋণ দাতার কিংবা তার পরিবারের কাউকে চাকরি দেবে বা দেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
(গ) কাউকে ঋণ দেয়া এই উদ্দেশ্যে যে, সে তাকে ঘর বা দোকান ভাড়া দেবে কিংবা এ ধরণের অন্য কিছু, যা সমাজের অনেকাংশে প্রচলিত।
ইসলামে উত্তম ঋণ পরিশোধ ব্যবস্থা এবং বর্তমান ব্যাংকিং প্রথা, একটি সংশয় নিরসন: ইসলাম ঋণ দেয়াকে যেমন লোকের সাহায্য তথা তাদের কষ্ট দূরীকরণ হিসেবে স্বীকার করে, তেমন ঋণ পরিশোধে উত্তম দৃষ্টান্ত পেশ করে। তাই ঋণ গ্রহীতা ঋণ ফেরত দেয়া সময় বেশি বা উত্তম ফেরত দিতে পারে, যাকে শরীয়াতের পরিভাষায় ‘হুসনুল্ কাযা’ বা উত্তম পরিশোধ বলা হয়।
আবূ রাফি হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘একদা নবী (সা.) এক ব্যক্তি হতে একটি উষ্ট্রী ধার নেন। তার পর সাদাক্বার উট আসলে আবূ রাফি-কে আদেশ দেয়া হয়, সে যেন সেই ব্যক্তির উট ফেরত দেয়। আবূ রাফি (রা.) ফিরে এসে বলে, (সেই সমগুণের উট নেই বরং তার থেকে উত্তম) রুবায়ী মুখতার (এমন পুরুষ উট যা ছয় বছর বয়স অতিক্রম করে সপ্তম বছরে প্রবেশ করেছে এমন) উট আছে। নবী(সা.) বলেন, তাই দিয়ে দাও; কারণ ভালো মানুষ তারা যারা উত্তম পরিশোধকারী। (সহিহ মুসলিম-অধ্যায়: বয়ূ, হা: ৪১০৮, মা: শা: ,হা: ১১৮/১৬০০)।
অনেকে ইসলামের এই সুন্দর বিধান না বুঝতে পেরে, কিংবা না বুঝার ভান করে, কিংবা অপরিপক্ক জ্ঞানের কারণে কিংবা অন্তরে কু-প্রবৃত্তির রোগ থাকার কারণে, বিষয়টিকে বর্তমান ব্যাংকিং প্রথায় অতিরিক্ত প্রদান করা ও অতিরিক্ত গ্রহণ করা বৈধ বলে ফাতাওয়া দিয়েছে। তাদের মন্তব্য, নবী (সা.) যেমন ঋণ ফেরত দেয়ার সময় বেশি দিলেন এবং ঋণ দাতা বেশি গ্রহণ করলেন, তখন আমরা ব্যাংকে ঋণ ফেরত দেয়ার সময় যদি বেশি দেই এবং তারা সেটা গ্রহণ করে তো অবৈধতার কিছু নেই।
উত্তরে বলবো, নবী (সা.)-কে এর ঋণ ফেরত বেশি দেয়া এবং বর্তমান যুগের ব্যাংকিং প্রথায় বেশি লেন-দেনের প্রথার মধ্যে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান।
প্রথমত: নবী (সা.)-কে ঋণ দাতা ঋণ প্রদানের সময় কোনো শর্ত দেয়নি যে, ঋন ফেরত কালে বেশি ফেরত দিতে হব। অন্যদিকে বর্তমান ব্যাংক সুক্ষ্ন হিসেবের মাধ্যমে বেশি দেয়ার শতকরা হার নির্ধারণ করে দেয় এবং নির্ধারিত সময়ে তা ফেরত না দিতে পারলে শতকরা হার আরো বৃদ্ধি পায়। আসলে ব্যাংক এই চক্রের মাধ্যমেই অর্থায়ন করে থাকে, আর আমরা বুঝেও বুঝি না।
দ্বিতীয়ত: সমাজে এটা পরিচিত চিল না যে,নবী (সা.)-কে ঋণ দিলে তিনি অতিরিক্ত ফেরত দেন। বরং তিনি হঠাৎই এই রকম আদেশ দেন। এই কারণে ইসলামী পণ্ডিতগণের ঐক্যমত রয়েছে যে, যে কোনো যদি বেশি ফেরতের শর্ত থাকে, তাহলে সেটা হারাম।
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান