• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শীতকালে অজুর প্রয়োজনীয় মাসআলা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮  

প্রাকৃতিক সৃজন ও ঋতুর পরিবর্তন আল্লাহ তাআলার অপার কুদরতের নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃজনে এবং পালাক্রমে রাত-দিনের আগমনে বুদ্ধিমানদের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনাবলি রয়েছে।’ (আলে ইমরান, আয়াত নং : ১৯১)

বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যে প্রতিটি মৌসুমই নান্দনিক। প্রাকৃতিক পরিবর্তন নিয়ে প্রতিনিয়ত আল্লাহর এসব মৌসুম-নিদর্শন আমাদের কাছে হাজির হয়। আল্লাহ তাআলা তার হুকুম-আহকাম ও বিধানাবলিও মৌসুম উপযোগী করে দিয়েছেন। তার কোনো হুকুমই বান্দার জন্য কষ্টসাধ্য নয়। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের থেকে সহজ জিনিসেরই দাবি করেন। কঠিন ও দুঃসহ জিনিসের প্রত্যাশী নন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

 

শীতকালের সঙ্গে আল্লাহর অনেক বিধানের সামঞ্জস্যতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রয়েছে। সেগুলোর অনত্যম একটি হলো, তায়াম্মুমের বিধান। ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে কিংবা অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয়—এমন ব্যক্তিকে তায়াম্মুমের নির্দেশ দিয়েছে শরিয়ত। তায়াম্মুম হলো নিয়ত করে মাটি অথবা মাটি-প্রকৃতির জিনিসে (যথা বালু, পাথর, চুনা ইত্যাদি) হাত স্পর্শ করে একবার পুরো চেহারা মোছা, দ্বিতীয়বার হাত স্পর্শ করে উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত ভালোভাবে মোছা। (রদ্দুল মুহতার ১/২২৮,২২৯)

শীতকালের আরেকটি বিধান হলো, অজুতে চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ করা। কারো তায়াম্মুমের পরিমাণ ‘অসুবিধা’ না হলেও ‘মুজা মাসেহ’র বিধান প্রযোজ্য সবার জন্য। অজু করে মোজা পরিধান করলে মুকিম ব্যক্তির জন্য পরবর্তী একদিন পর্যন্ত যতবার অজুর প্রয়োজন, তাতে পা ধোয়ার প্রয়োজন হবে না। বরং তিন আঙুল পরিমাণ মোজার ওপর মাসাহ করে নিলেই চলবে। এ সুযোগ মুসাফিরের জন্য তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বিভিন্ন হাদিসে রাসুল (সা.) অনুরূপ আমলের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৬০)

 

 

উল্লেখ্য, সব মোজার ওপরই মাসাহ করা যায় না। (যেমন- সুতা, নায়লনের মোজার ওপর মাসেহ করলে হবে না।) বরং মোজার ওপর মাসেহ করার জন্য মোজাটি টাখনু পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এমন অথবা চামড়ার মোজার গুণে উত্তীর্ণ হতে হবে। রাসুল (সা)-এর হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকেই সংগৃহীত গুণগুলো ফিকাহগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক. মোজা এমন মোটা হতে হবে যেন উপরে পানি পড়লে ভেতরে না পৌঁছায়।

দুই. সংকীর্ণতা বা রাবার অথবা সুতা ইত্যাদি দিয়ে বাঁধা ছাড়াও স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পায়ের সঙ্গে লেগে থাকে।

তিন. শুধু ওই মোজা পরিধান করেই দুই-তিন মাইল হাঁটা যায়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ১/১৮৮ ,ফাতহুল ক্বদির ১/১০৯)

বিশেষ সতর্কতা : শীতাদ্র আবহাওয়ায় চামড়া ফেটে যাওয়ার দরুন পা ধোয়া হলেও মাঝেমধ্যে শুকনো থেকে যায়। অথচ অজুর অঙ্গ একচুল পরিমাণও শুকনো থাকলে অজু হবে না। এ জন্য ওলামায়ে কেরাম বলেন, অজুর শুরুতে একবার পা ভিজিয়ে নেওয়া উত্তম এবং অঙ্গ ধোয়ার সময় হাত দিয়ে মলে মলে ধোয়া হলে আর শুকনো থাকার ভয় থাকে না।