• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২ বিল পাস

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  


জাতীয় সংসদে আলাদা দু’টি বিল পাস হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজের সুরক্ষায় ‘বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯’ এবং চিনি উৎপাদন হয় এমন ফসলের গবেষণা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৯’ নামে বিল পাস করা হয়।
এরআগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯’ পাসের প্রস্তাব করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী নিয়ে আলোচনার পর কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
এই বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্রপথে পরিবাহিত পণ্যের অন্যূন ৫০ শতাংশ পণ্য এ আইনের বিধানসাপেক্ষে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের মাধ্যমে পরিবাহিত হবে। ১৯৮২ সালের এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুযায়ী সমুদ্রপথে পরিবাহিত পণ্যের ৪০ শতাংশ পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের বিধান ছিল।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জাহাজ মালিকরা যেন আরও বেশি বেশি জাহাজ ক্রয় বা সংগ্রহ করতে আগ্রহী হন সেজন্য নতুন আইনে সুরক্ষা সুবিধা বিদ্যমান অধ্যাদেশের চেয়ে আরও বাড়ানো হয়েছে। বিলের বিধান অনুযায়ী, কোনো জাহাজ এ আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ পাঁচলাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করা হবে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৯’ পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ওই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ইনস্টিটিউট চিনি, গুড়, সিরাপের পাশাপাশি মধু উৎপাদনের লক্ষ্যেও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। আগের আইনে ‘সুগারক্রপের’ সংজ্ঞা নির্ধারিত ছিল না। এখন সুগারক্রপের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, আখ, সুগারবিট, তাল, খেঁজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ এর আওতাভুক্ত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সময়ের পরিক্রমায় ইনস্টিটিউটের কাজের পরিধি বেড়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির শিরোনাম পরিবর্তনসহ বিদ্যমান আইনটি অধিকতর সংশোধন ও হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সুগারক্রপ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এ ইনস্টিটিউট সরকারের অনুদান নিয়ে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য ও কৃতিত্বের সঙ্গে ডিগ্রি অর্জনকারীদের ফোলোশিপ দিতে পারবে।