• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে

আজ অতুলপ্রসাদের জন্মবার্ষিকী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০  

মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা/
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা/
 

এমন গানের কথা কার না হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের মধ্যে অফুরন্ত প্রেরণা জুগিয়েছে এই গান। গানটির জনক অতুলপ্রসাদ সেন। তার এ গান আজও আমাদের মুগ্ধ করে। যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। আজ অতুলপ্রসাদের জন্মবার্ষিকী। ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকায় মাতুলালয়ে তার জন্ম হয়। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল দক্ষিণ বিক্রমপুরে। তার পিতার নাম রামপ্রসাদ সেন এবং মায়ের নাম হেমন্তশশী।

অতি অল্পবয়সেই বাবাকে হারিয়েছিলেন অতুলপ্রসাদ। এরপর মাতামহ কালীনারায়ণ গুপ্তের কাছে প্রতিপালিত হন তিনি। পিতাকে হারানোর পর তার বিধবা মা হেমন্তশশী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ-এর জ্যাঠামশাই দুর্গামোহন দাশকে বিবাহ করেন। এতে তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত আঘাত পান। তখন তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এরপর মামাদের অনুরোধে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে (এখন বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। ১৮৯০ সালে বিলেত যান ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য, তার মামারা তাকে বিলেত যাবার ব্যবস্থা করেন। ইংল্যান্ডে যাবার সময় জাহাজে বসে তিনি রচনা করেছিলেন ‘উঠ গো ভারতলক্ষ্মী’ গানটি। লন্ডনে গিয়ে তিনি আইন শিক্ষা করেন এবং আইন পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।

অসম্ভব দানশীল অতুলপ্রসাদ জীবনের উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই ব্যয় করেছিলেন জনকল্যাণে। এমন কী তিনি তার বাড়িটিও দান করে গিয়েছিলেন। ১৯৩৪ সালের ২৬ আগস্ট তিনি প্রয়াত হন। বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্রময় জীবনের অতুল প্রসাদ মৃত্যুর আগে নিজের লেখা সমস্ত গ্রন্থের স্বত্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে দান করে যান।