করোনা: গুজব ছড়ানো যুবদল নেতা ৩ দিনের রিমান্ডে

করোনা ভাইরাসের কারণে চট্টগ্রামে মানুষের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার নগর যুবদল নেতা ডা. ইফতেখার আদনানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২২ মার্চ) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ ডা. ইফতেখার আদনানকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ  বলেন, ডাক্তার ইফতেখার আদনানকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার (২১ মার্চ) মধ্যরাতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ বাদি হয়ে ডা. ইফতেখার আদনানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। মামলায় ইফতেখার আদনানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।

করোনার কারণে বাংলাদেশে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং সরকার সেই তথ্য গোপন করছে উল্লেখ করে একটি অডিও ক্লিপ তৈরি করেন ডা. ইফতেখার আদনান। জনমনে ভীতি তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে ইফতেখার আদনান এ অডিও ক্লিপ তৈরি করেন বলে জানায় পুলিশ। ইফতেখার আদনান মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সেই অডিও ক্লিপ ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন।

এটি ভাইরাল হওয়ার পর তদন্তে নেমে শনিবার বিকেলে নগরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ইফতেখার আদনানকে আটক করে। ডা. ইফতেখার আদনান নগরের দুই নম্বর গেইট মেয়র গলির বাসিন্দা। তিনি ইউএসটিসি মেডিক্যাল থেকে এমবিবিএস পাস করে মেডিক্যাল সেন্টারে কর্মরত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইফতেখার আদনান চট্টগ্রাম নগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।