• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত

প্রতারকদের টার্গেট এবার ভিসা ও মাস্টার কার্ড

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

অনলাইন ব্যবস্থাপনার যুগে ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট, কেনাকাটা থেকে শুরু করে মোবাইল রিচার্জসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। এই কার্ড ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা লোড করাও যায়। আর এসব কার্ড ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ ১৬ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর, সাভার ও ঢাকা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমন একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো মো. সোহেল মীর, মো. নাজমুল হোসেন, নাজমুলের মা পারুলী বেগম ও মো. তারা মিয়া। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাস্টার কার্ড থেকে জালিয়াতি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।’

মাস্টার ও ভিসা কার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গুলশান, বনানী ও হাতিরঝিল থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ এসব মামলার ছায়াতদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে জড়িত চক্রটির কয়েক সদস্যকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায়, তারা বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কার্ড ডিভিশনের কর্মকর্তা সেজে ব্যবহারকারীদের প্রতারণার জালে আটকায়। এতে গ্রাহক ব্যালেন্স নিয়ে আশঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পরে প্রতারকদের কথামতো কাজ করতে থাকেন। এভাবে প্রতারক চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, এর আগে বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিকাশে লেনদেনকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটলেও মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি নতুন। প্রতারণার শিকার অনেক ব্যবহারকারী প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করে না। অনেকেই কার্ডটি স্থায়ীভাবে সাসপেন্ডেড হয়ে যাওয়ার এবং কার্ডে জমাকৃত অর্থের ক্ষতির আশঙ্কায় প্রতারকদের বেঁধে দেওয়া দুই-তিন মিনিটের মধ্যে তথ্য দিয়ে দেয়।

মশিউর রহমান বলেন, চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। টাকা উদ্ধারেও কাজ করছে ডিবি।

সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপকমিশনার বলেন, মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে গেলে প্রতারকদের একাধিক ধাপে কয়েকটি তথ্যের প্রয়োজন হয়, যেমন কার্ড নম্বর, নিরাপত্তা পিন নম্বর, ওটিপি কোড ইত্যাদি। কোনও ধরনের নম্বর কোনও ব্যক্তির সঙ্গে এমনকি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও শেয়ার না করার জন্য মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ সবাইকে অনুরোধ করছে।