• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত

ভ্যাটের সাড়ে ৬ কোটি টাকা পকেটে ভরেছে ৮ পাটকল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২২  

মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায় করা হলেও তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ছয় প্রতিষ্ঠানসহ আরও দুটি পাটকল। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকার বেশি।

বিজেএমসির সার্বিক কার্যক্রমের ওপর কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

ভ্যাট বাবদ আদায় করা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়া বিজেএমসির বাইরের প্রতিষ্ঠান দুটি হলো নরসিংদী ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলস ও ঢাকার ডেমরার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলস। এই আটটি প্রতিষ্ঠান তিন অর্থবছরে ভ্যাটের টাকা জমা না দেয়ায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ টাকা।

নিরীক্ষা রিপোর্ট বলছে, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১-এর ০৬ ধারা অনুযায়ী ভ্যাটের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদানে ব্যর্থতার কারণে ২ শতাংশ দণ্ডসুদ আদায়যোগ্য।

পাটকলগুলোর আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চেয়ারম্যান এবং বিজেএমসি বরাবর চিঠি ইস্যু করে হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। জবাব না মেলায় ২১ জানুয়ারি তাদের পুনরায় চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত চিঠির কোনো জবাব দেয়নি মন্ত্রণালয় ও করপোরেশন।

বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ছয়টি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিলস লিমিটেড, খুলনার খালিশপুরের দি ক্রিসেন্ট জুট মিলস, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস ও খালিশপুর জুট মিলস, খুলনা চন্দনীমহলের স্টার জুট মিলস ও সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিলস লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠান ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এক কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৭ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

ছয়টি প্রতিষ্ঠানের জেনারেল লেজার, মিলের চূড়ান্ত হিসাব, সরবরাহকারীদের বিল পরিশোধ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, বিল রেজিস্টার, ভ্যাট আদায় রেজিস্টার এবং অন্যান্য রেকর্ড নিরীক্ষায় দেখা গেছে, বিভিন্ন মিল কর্তৃপক্ষ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আদায় করা ভ্যাট বাবদ বড় অঙ্কের এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি।