এক ভাস্কর্যে চারশ বছরের ঢাকা
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯
মিরপুর শহীদবাগ এমন একটি জায়গা যেখানে গেলেই দেখবেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সব নিদর্শন- আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় সংসদ ভবনসহ নানা স্থাপত্য। ভাবছেন এ কি করে সম্ভব? এটি সম্ভব হয়েছে একটি ভাস্কর্যের কারণে।
জায়গাটি ঢাকা সেনানিবাসের সন্নিকটে। বর্তমানে ‘সাগুফতা’ নামে পরিচিত। কোলাহলমুক্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ভাস্কার্যটির কারণে ইতোমধ্যেই জায়গাটি নগরবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে। ভাস্কর্যের নাম ‘শতবর্ষের ঢাকা’। সেখানে ফুটে উঠেছে ঢাকার চারশ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক নির্দশন। শুধু তাই নয়, সময়ের পরিক্রমায় জীবনাচারের পরিবর্তিত রূপও তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। এমনকি আধুনিক প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের যান্ত্রিক মানুষে পরিণত করেছে দেখা যাবে তার খোদাই করা ছবি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেয়াল আকৃতির উর্ধ্বমুখী অর্ধ গোলাকার ভাস্কর্যের দুই পাশে খোদাই করে এগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন সময়ের যাতায়াত ব্যবস্থার চিত্র। যেমন ঐতিহ্যবাহী ঢাকার চিরপরিচিত বাহন ঘোড়ার গাড়ি, রিকশা প্রভৃতি। মানে এক ভাস্কর্যের ভেতরেই অনেক কিছু। যানজট কিংবা সময় স্বল্পতার কারণে যাদের ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো দেখার ফুরসত মেলে না, তারা এই ভাস্কর্যের মাধ্যমেই সেগুলোর ধারণা পাবেন।
ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণ। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে চারশ বছরের পুরনো এই শহরটি আরো দ্রুতগতিতে প্রসার লাভ করেছে। অনেকেই ঢাকাকে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য যেকোনো কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, ঢাকা নগরী বিশ্বের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। শহরটিতে অসামান্য সুন্দর কিছু শৈল্পিক নিদর্শন রয়েছে। আছে এর ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইতিহাস। এই শহরটি প্রতিষ্ঠা পাবার প্রায় শুরু থেকেই বঙ্গের রাজধানী ছিল। শহরের অনেক অলি-গলিতে এখনো অনেক নিদর্শন চোখে পড়ে।
‘পুরান ঢাকা’ নামে পরিচিত ঢাকার পুরোনো একটি স্থান যা অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দির ঐতিহ্য এবং নিদর্শন বহন করছে। লালবাগ কেল্লা যথারীতি পুরান ঢাকায় অবস্থিত। সপ্তদশ শতাব্দিতে বাংলার সুবেদার মুহাম্মদ আজম শাহ্ এটি নির্মাণ করেছিলেন। তিনশ বছরেরও বেশি সময় পার করে আজও এটি স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। সেটিও স্থান করে নিয়েছে এই ভাস্কর্যে। মাতৃভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন তাদের সম্মানার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় সংসদ ভবন শহরের অনিন্দ্য সুন্দর একটি দর্শনীয় স্থান- সেটিও শোভা পাচ্ছে ভাস্কর্যে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকার সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ১৮ জুন ভাস্কর্যটি তৈরির কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (১৬ ইসিবি)। কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। স্থাপনার কাছেই দেখা মেলে পাথরে খোদাই করা এক সাইনবোর্ড। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন ও ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতেই ‘শতবর্ষের ঢাকা’ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে ভাস্কর্যটি। এক মুহূর্তে ঢাকা দর্শনের পাশাপাশি ভাস্কর্যটির চারপাশের দৃশ্যও মনোরম। ব্যাংকার ফাহিম সিদ্দীক জানালেন, চারশ বছর ধরে ঢাকা শুধু এক জায়গায় থেমে নেই। বদলে গেছে নগর ঢাকা, বদলে গেছে তার নাগরিক জীবনধারা। মোটকথা, অসংখ্য ঐতিহ্যের সম্মিলন ঘটেছে ইট-পাথর আর সিমেন্টের তৈরি ওই নির্দশনে। তিনি আরো বলেন, আমি অভিভূত একপলকে ঢাকার পুরো স্থাপনা, ঐতিহ্য ও জীবনধারার পরিচয় পেয়ে। শুধু ফাহিম নন, অনেকেই আসেন পরিবার নিয়ে শহীদবাগ চত্বরে। বাড্ডা থেকে আসা দর্শনার্থী আবু তালেব বলেন, আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি ভাস্কর্যটির কথা। এদিকে কাজে এসেছিলাম। দেখে গেলাম। যাঁরা এটি তৈরি করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যাঁরা ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা এখনও দেখেননি, তারা এখান থেকে ধারণা পাবেন।
ভাস্কর্যের পাশেই ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে ডাব বিক্রি করছিলেন বরিশালের আনিসুর রহমান। তার ভাষ্যমতে, বিকেল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে এলাকার সৌন্দর্যও বেড়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন স্থানীয় প্রবীন সাকের চৌধুরী। তিনি বলেন, এই নানন্দিক স্থাপনাটির পরিচর্যা দরকার। প্রয়োজনে এটি দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক কাউকে নিয়োজিত রাখতে হবে। না হলে এর সৌন্দর্যহানি ঘটবে।
- হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ত্বকে হিট র্যাশ উঠলে সারাতে কী করবেন?
- গরমে বেলের শরবতে মিলবে যত উপকার
- হোয়াটসঅ্যাপে আপনাকে কেউ ব্লক করলে বুঝবেন যেভাবে
- জুনের মধ্যে ৭০ ভাগ ধান-চাল সংগ্রহের নির্দেশ
- পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ॥ দাম কমছে
- আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী
- গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল
- মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
- শেয়ার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১শ কোটি টাকা
- প্রথম সিনিয়র অফিশিয়াল বৈঠক করল বাংলাদেশ-জিসিসি
- পোশাক শিল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে: পাটমন্ত্রী
- বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
- শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার টিজার প্রকাশ, দেখা গেল চঞ্চলকেও
- রেলের ম্যানুয়ালি সিগন্যাল ব্যবস্থায় নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- উড়োজাহাজ কিনতে সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হবে: মন্ত্রী
- এপ্রিলে বিজিবির অভিযানে ১৩৪ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ
- থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান
- থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
- শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
- দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
- উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন
- বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার
- ঝালকাঠিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের গণসংযোগ
- বৈরী আবহাওয়ায় মাদারীপুরে দুই উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ
- বিএনপির নেতারা নির্বাচনে হারবে জেনেই ভোট বর্জন করেছে -শাজাহান খান
- শাহ আমানতে পৌনে তিন কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার
- মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০
- যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, একই পরিবারের নিহত ৭
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা