অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে লড়ছেন যে নারী
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশন করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও৷ কিন্তু বাংলাদেশে সেই সীমা ছাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে৷
গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। বিষয়টিকে ‘অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার’ উল্লেখ করছেন অনেকেই। বেসরকারি এক পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের খরচ প্রায় চার কোটি ঢাকা।
দেশের এমন পরিস্থিতি পরিবর্তনে কাজ করছেন এক তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সম্প্রতি অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান রোধে নানা পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইনকে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।
প্রশ্ন: দেশে সিজারিয়ানের বর্তমান অবস্থা কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশন করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই হারটা বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৩১ শতাংশে পৌঁছেছে। এর সাথে মাতৃ-মৃত্যুর হার বাড়ছে। সিজারিয়ান হলো মা ও সন্তানের জীবন রক্ষার্থে এক ধরনের চিকিৎসা। তবে আমাদের দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবসায়ী স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় সিজার বেড়েছে।
প্রশ্ন : কী কারণে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বাড়ছে, আর এটা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: সম্প্রতি সিজারিয়ান বেড়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ী স্বার্থ। বেসরকারি হাসপাতালগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অনৈতিকভাবে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ানের দিকে ঝুকঁছে। আমাদের দেশের মানুষ স্বাস্থ্যাসেবা নিশ্চিত করতে পুরোপুরি ভাবে চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেন আমরা সেটাই মেনে নিই। এটা হচ্ছে এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বড় হাতিয়ার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এখানে ডাক্তারদের নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। এছাড়া দায়ীদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এদিকে সরকারের নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিফতরের উদ্যোগে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে মিডিয়া অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিটি হাসপাতালে একজন প্রশিক্ষিত দায়ী রাখা যেতে পারে।
অনেক উচ্চবৃত্ত ঘরের মেয়ে এখন সিজার করতে ইচ্ছুক। তাকে যদি ভাল করে বুঝানো হয়। আসলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া অনেক ঝুকিঁ। তাহলে তারাও এবিষয়ে সচেতন হবে।
প্রশ্ন :অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আমাদের করণীয় কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: আমাদের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিতে পারি চায়না ও ব্রাজিল থেকে। কারণ চায়না ও ব্রাজিলে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ানের হার আমাদের থেকেও শোচনীয় ছিলো। দুইটি দেশেই অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। চায়না অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে নানাবিধি স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করেছিল।
এমনকি প্রতিটি হাসপাতালে সিজারিয়ানের হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিলো। নির্ধারিত হারের চেয়ে অধিক হলে জরিমানা করা হতো। নির্ধারিত হারের চেয়ে কম সিজার করতে পারলে পুরস্কার প্রদান করা হতো। এমন পদক্ষেপ আমাদের দেশে গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া আমাদের দেশের সুশীল সমাজ এবিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারে। নারী অধিকার নিয়ে যে সব সংগঠন কাজ করছে। তারাও এবিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন : আপনি অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আইনী লড়াই করে যাচ্ছেন। আদালতে একটা রিটও করেছেন। বর্তমান এর অবস্থা কি।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) এর পক্ষ থেকে আমি একটা রিট করেছি। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের মাধ্যমে এটি করা হয়। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর আগামী ১ মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে নীতিমালাটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। এর সময় শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর। তবে যতদিন এই বিষয়ে কোন প্রকার আইন করা না হয়। ততদিন পর্যন্ত এই নীতিমালা আইন হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রশ্ন :অপ্রয়োজনীয় সিজার নিয়ে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো কাজ করছেন কিনা। আপনার আগামীদিনের পরিকল্পনা কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করতে এর আগেই আমি অনেক কাজ করেছি। আমাদের আন্দোলনের কারণে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা একটি নীতিমাল তৈরি হয়েছে। সেটিও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) এর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এটি আইন হিসেবে গণ্য করার রায় দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ। এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে পরিবহন দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য। এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপনে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন সংশোধনের কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে যে আইন রয়েছে। এটা পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটি মামলা করা হয়েছে। আশা করছি আপনাদের একটা সুসংবাদ দিতে পারবো।
- সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে
- পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট
- শুরু হচ্ছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
- যেদিন সূর্য নিস্প্রভ হয়ে যাবে
- গরমে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার কারণ কী হতে পারে?
- এই গরমে চুল পড়া বন্ধ করতে
- আম মুরগির ঝোল
- কমলো পেঁয়াজের দাম
- জ্বালানি তেল খালাসে আসছে যুগান্তকারি পরিবর্তন
- মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের
- রেকর্ড সংখ্যক হাজির সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি
- তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মুরগি, কমেছে ডিম ও মাংসের উৎপাদন
- এবার স্মার্টওয়াচেই পাবেন এআই ফিচার
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্রামে শাহরুখ, ফিরবেন কবে?
- যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস
- উজিরপুরে সরকারী তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- নগরীর শেরে বাংলা সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- প্রবাসে এনআইডি করতে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে রঙিন ছবি
- লবণ-চিনি মিশিয়ে নকল ওরস্যালাইন বানাচ্ছিলেন তারা
- ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেন তারা
- অশোক রায় নন্দীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজি মিশর
- শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান