বোবায় ধরা কোন রোগ নয়
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯
মনে করুন, মধ্যরাতে হঠাৎ আপনার ঘুম ভেঙে গেল। আপনি অনুভব করলেন, আপনার বুকের ওপর ভারী কিছু একটা বসে আছে। এটা এত ভারী যে আপনার দমটা বন্ধ হয়ে আসছে, ভালোভাবে নিঃশ্বাসই নিতে পারছেন না।
কেমন লাগবে তখন? নিশ্চয়ই খুব ভয় পাবেন! এটা একটা ভীতিকর পরিস্থিতিই বটে। আবার যখন টের পাবেন, তখন আপনি চাইলেও শরীরের কোনো অংশ নাড়াতে পারছেন না, এমনকি চিৎকারও করতে পারছেন না। নিজেকে এমন অসহায়ভাবে আবিষ্কার করলে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এই ব্যাপারটাকেই আমরা আসলে ‘বোবায় ধরা’ বলে থাকি।
আর এই 'বোবায় ধরা' কথাটার সাথে আমরা কম-বেশি সবাইই পরিচিত। এই 'বোবায় ধরা' কথাটা শুনতে অদ্ভুতও লাগে। কেউ কেউ এটাকে ভৌতিক বলেও বিশ্বাস করে থাকেন। এই শব্দটি এসেছে লোকাচারীয় কুসংস্কার হতে।
আসুন, তাই জেনে নেওয়া যাক 'বোবা ধরা'র আদ্যোপান্ত -
অনেকের ধারণা, বোবা নামের ভূত ঘুমের মধ্যে বুকে বসে নাক-মুখ চেপে ধরে, ফলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এবং চোখ খুলেও আক্রান্ত মানুষটি কথা বলতে পারে না। অনেকে এমনও বলেন ভূতটিকে ধাক্কা দিলেও সরানো যায় না। একেই তাঁরা ‘বোবায় ধরা’ বলে থাকেন। তবে এটা কোনো বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নয়।
'বোবায় ধরা' কথাটার ইংরেজিতে প্রতিশব্দ হল ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ বা বাংলা পরিভাষা হলো ‘নিদ্রা পক্ষাঘাত’।
বোবায় ধরলে ব্যক্তি যেহেতু তাৎক্ষণিকভাবে অতি-অল্প সময়ের জন্য বাক ও চলনশক্তি হারিয়ে ফেলেন, নড়াচড়াও করতে পারেন না, সেহেতু এটিকে ঘুমের পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস বলা হয়।
একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়া বা ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ে শরীরের কোন অঙ্গ-প্রত্যংগ নাড়াতে না পারার একটি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। এটি ঘটে একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়া বা জেগে উঠার আগমুহূর্তে।
বোবায় ধরা হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থা এবং জাগরণের মধ্যবর্তী একটি অবস্থান। এটি ঘুমোনর মুহূর্তে অথবা ঘুম থেকে জেগে উঠার আগমুহূর্তে হতে পারে। বোবায় ধরা ব্যক্তিটি প্রায়ই একটি ভয়ের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়, ভয়ের কোন দৃশ্য দেখতে পারে যেমন, ঘরের ভেতরে কারো অনাকাঙ্ক্ষিত উপস্থিতি এবং সেই মুহূর্তে বোবায় ধরা ব্যক্তিটি নড়তে পারে না।
বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস স্রেফ একটা ইন্দ্রিয়ঘটিত, মানসিক ব্যাপার। যখন শরীর গভীর ঘুমের এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে যায়, তখনই এটা ঘটে থাকে। বোবা ধরলে একেকজনের একেক রকম অভিজ্ঞতা হয়। কেউ ঘরের ভিতর ভৌতিক কিছুর উপস্থিতি টের পান, কেউ দুর্গন্ধ পান, কেউ বা ভয়ানক কোনো প্রাণী দেখতে পান। মোটকথা তখন একটা হ্যালুসিনেশনের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। গভীর ঘুমের এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে যাওয়ার সময় মস্তিষ্ক সতর্ক হয়ে ঘুম ভেঙে গেলেও শরীর আসলে তখন ঘুমেই থাকে। ফলে অভিজ্ঞতাটা অন্যরকম হয়। বিশেষ করে ইন্দ্রিয় তখন আচ্ছন্ন থাকায় মানুষ অদ্ভুত কিছু দেখে এবং শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। সাধারণত যাদের ঘুমের সমস্যা থাকে তারাই বেশি স্লিপ প্যারালাইসিসে ভোগেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, অতিলৌকিক কোনো কিছু এ ব্যাপারটি ঘটায়। আসলে এটা স্রেফ একটি শরীরবৃত্তীয় ব্যাপার। অন্য কিছু নয়।
★ কেন এমন হয় :
এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো চাপের মধ্যে থাকা এবং যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রামের অভাব। ধরে নেওয়া হয় REM sleep এ বিঘ্ন ঘটার কারণে বোবায় ধরা ব্যপারটি ঘটে। ঘুমের এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে যাওয়ার সময় শরীর সাবলীলভাবে নড়াচড়া করতে পারে না, তখনই মানুষ বোবা ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়।
বোবায় ধরার সাথে কিছু মানসিক রোগ যেমন narcolepsy, migraine, anxiety disorder, এবং obstructive sleep apnia এরযোগসুত্র আছে বলে ধরা হয়। তবে, এসব মানসিক রোগ না থাকলেও একজন ব্যক্তি বোবায় ধরায় আক্রান্ত হতে পারে। যখন অন্য কোন রোগের সাথে যোগসূত্র থাকে, বোবায় ধরা সাধারণত স্নায়বিক ব্যাধি narcolepsy এর কারণে হতে পারে। ।
এছাড়া,
ঘুমের নির্দিষ্টতা না থাকা, সময়মতো না ঘুমানো বা কম ঘুমানো, অনিয়মিত ঘুম, উপুড় হয়ে ঘুমানো বা ঘুমের সময় পরিবর্তন। নার্কোলেপ্সি বা অতি ঘুমকাতরতা, ঘুমের মধ্যে হাত পা ছোঁড়া বা হাঁটা, অন্যান্য নিদ্রাজনিত রোগ থাকা যেমন হাত পায়ের মাংসপেশিতে খিঁচ ধরা।
★পরিত্রানের উপায় :
বোবায় ধরা আসলে গুরুতর কোনো রোগ নয়, তেমন কোনো চিকিৎসারও প্রয়োজন হয় না। তবে তা যদি ঘন ঘন হতে থাকে বা ঘুমে নিয়মিতভাবে ব্যাঘাত ঘটায় বা উদ্বিগ্নতার দরুণ রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বা কমে যায়, তখন এই বোবায় ধরা থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা মানতে হবে।
★ কিছু টিপস :
বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস থেকে বাচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ উপায় হলো ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা। নিয়মিত কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমের সময় চিত কিংবা উপুড় হয়ে না শুয়ে কাত হয়ে শোওয়া উত্তম। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাবার গ্রহণ করতে হবে। যারা অধিক মাত্রায় দুশ্চিন্তা বা বিষন্নতায় ভোগেন, তাদের উচিৎ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যার জন্ম দেয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী চলতে হবে। তাই এসব বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।
- গরমে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
- এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
- ছুটির দুপুরে পাতে রাখুন ‘আনারস মুরগি’
- ৯৫ লাখ টাকায় কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত, ক্ষুব্ধ হয়ে ভায়রাকে অপহরণ
- বিচারকাজ পরিচলনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
- পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত
- গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা
- কোক স্টুডিও বাংলা’র নতুন গান ‘মা লো মা’
- আড়াই মাস পর দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির লাশ, নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন
- মাদারীপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার ২
- দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কে দুদকের অভিযান
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন
- বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পরে দুধ দিয়ে গোসল, ভিডিও ভাইরাল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সভা
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলগত ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- ইলিশের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা : ২৩ ঘণ্টাতেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুদের মাঝে বাংলাদেশিদের খাদ্য বিতরণ
- সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- যুবকদের আইসিটিতে দক্ষ করার উদ্যোগ, ফ্রিল্যান্সিংয়ে গুরুত্ব
- কুয়েতে স্মার্ট এনআইডি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে