• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে

ভান্ডারিয়া হানাদার মুক্ত দিবস আজ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

পিরোজপুর  প্রতিনিধিঃ আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া হানাদার মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে ভান্ডারিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শহরের বহমান পোনা নদী তীরের পুরাতন স্টীমারঘাট এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার সুবেদার আব্দুল আজিজ সিকদারের নেতৃত্বে অর্ধশত সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়েছিলেন।  এরপর সংগঠিত মুক্তিযোদ্ধারা পোনা নদীতে অবস্থানরত পাকহানাদারের গানবোর্ড লক্ষ করে গুলি বর্ষণ শুরু করে । এর জবাবে হানাদারবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা পোনা নদীতে হানাদার বাহিনীর গানবোট ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান বদলে ভান্ডারিয়া শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের পোনা নদীর মোহনার শিয়ালকাঠী এলাকায় নতুন করে প্রতিরোধের জন্য ঘাঁটি গড়েন। এসময় তাঁদের সাথে আরও কিছু মুক্তিযোদ্ধা যোগ দিলে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের গানবোট ডুবিয়ে হানাদারদের ওপর সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের মূহুর্মূহু গুলিতে পাকবাহিনীর একটি গানবোটের তলা ছিদ্র হয়ে কঁচা নদীতে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এসময় পাকহানাদাররা অন্য একটি গানবোটে পিছু হটে যায়। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র আক্রমনে ঘটনাস্থলে পাকহানাদারের কয়েকজন সদস্য নিহত হয়। এরপর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় মিছিল করে ভা-ারিয়া শহরের প্রবেশ করেলেই ভান্ডারিয়া সম্পূর্ণ হানানাদার মুক্ত হয়।
সকল মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করলে সর্বস্তরের জনতা  মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে জয়বাংলা ধ্বনিতে বিজয় মিছিলে মুখরিত করে।