• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে

বিএনপিতে মতভেদ বাড়ছে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ বাড়ছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে। বিভিন্ন সিদ্ধান্তে এমন মতানৈক্যের কারণে দলের হাই কমান্ড, শীর্ষ ও সিনিয়র নেতারা বিব্রত বোধ করছেন। চাপা অসন্তোষও রয়েছে তাদের ভেতর।

গত শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল অভ্যন্তরীণ বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো মত প্রকাশ না করার জন্য তিনি সবাইকে সতর্কও করেছেন। সিনিয়র নেতারা এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে পারস্পরিক সন্দেহের ইঙ্গিত মিলেছে তাদের কথায়।

সূত্রমতে, ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতে তারেক রহমান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের সব সিনিয়র নেতার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। তখন প্রকাশ্যে এর কোনো বিরোধিতা করা হয়নি। তিনি জানতে চান, তা হলে এখন কেন ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করা হচ্ছে।

বৈঠকে তারেক রহমানের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েন। একটি পক্ষ তখনকার প্রেক্ষাপটে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে। আরেকটি পক্ষ পুরোপুরি নীরব থাকে। সূত্র জানায়, সিনিয়র নেতাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, বিএনপি বর্তমানে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কোনো বার্তা দিতে পারছে না। বিক্ষুব্ধ জনগণের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারছে না। রাজনৈতিক কিংবা সাংগঠনিক কার্যক্রমেও কোনো গতি আসছে না। কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুন করে বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নও ঘটেনি। শীর্ষ পর্যায় থেকে দলের সবার ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতায় চেইন অব কমান্ডও হুমকির মধ্যে পড়ছে। তবে রাজনীতি ও ঐক্যের স্বার্থে প্রকাশ্যে এসব নিয়ে তারা কিছু বলতে নারাজ। তারা চাইছেন দল পরিচালনা ও নেতৃত্বের বিষয়গুলোকে নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গভীরভাবে ভেবে দেখা হোক।

তা ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় করে তোলা কতটুকু যৌক্তিক হবে, তা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে শীর্ষনেতাদের মধ্যে। সিনিয়র নেতা অনেকেই মনে করছেন, খালেদা জিয়ার মামলা জটিলতা ও চিকিৎসার স্বার্থে তাকে কোনোভাবেই রাজনীতির ফ্রন্টলাইনে আনা উচিত হবে না। এতে বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়তে পারে।

বিএনপির দুই ধারার শীর্ষ নেতাদের এমন তৎপরতায় ক্ষুব্ধ দলের হাইকমান্ড। এমন প্রেক্ষাপটে নেতাদের সতর্ক করে দলকে সংগঠিত করতে পরামর্শ চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আপাতত খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠকের বিষয়ে গতকাল রোববার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দলের যেসব নেতাকর্মী মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয় ও তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।