• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

রজব মাসে বেশি বেশি ইবাদত করবেন যে কারণে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

রমজান মাস আসার আগে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসজুড়ে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করতেন, রোজা রাখতেন এবং এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন-
اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’

কারণ রজব মাস হলো শাহরুল্লাহ বা আল্লাহর মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বছরে মাস ১২টি। এরমধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক; আর তা হচ্ছে- জিলক্বদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থ মাসটি হল- রজব, যা জমাদিউল উখরা ও শাবান মাসের মর্ধবর্তী মাস।’ (বুখারি)

গোনাহ বা অন্যায় করা এমনিতেই নিষিদ্ধ। তারপরও কুরআনে ঘোষিথ আশহুরে হুরুমে কাউকে আক্রমণ কিংবা অত্যাচার থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছ। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
‘নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারোটি। সুতরাং তোমরা এই মাসসমূহে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৩৪)

ইসলামিক স্কলার ও ওলামায়ে কেরামদের মতে, ‘আশহুরে হুরুমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-
যারা এসব মাসে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগির প্রতি যত্নবান হয়, তাদের বাকি মাসগুলোও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করার সৌভাগ্য লাভ হয়। আর আশহুরে হুরুমে একটু কষ্ট করে গোনহ থেকে বিরত থাকতে পারলে অন্যান্য মাসেও গোনাহ পরিহার করে চলা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।’ (আহকামুল কুরআন, মারেফুল কুরআন)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রজব মাসজুড়ে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করে বছরের বাকী মাসগুলো ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো এবং অন্যায় থেকে বেঁচে থাকার সৌভাগ্য লাভ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবির শেখানো দোয়া ও আমলগুলো যথাযথ আদায় করার পাশাপাশি বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। অন্যায় ও গোনাহের কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।