• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

একই জায়গায় মিলছে সেন্টমার্টিন-সুন্দরবনের সৌন্দর্য!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৯  

সোনার চর, এটা যেন সুন্দরবন ও সেন্টমার্টিনের সংমিশ্রন! সেখানে রয়েছে চার কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত। রয়েছে বনভূমি। সেখানে কেওড়া, সুন্দরী, গড়ান, হেঁতাল, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ শৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে। নিভৃত সোনার চরে শুধু নানান ধরনের বৃক্ষের সমাহারই নয়, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীও। হরিণ, শিয়াল, মহিষ, বন্য শুয়োর, বানর এ বনের বাসিন্দা। দ্বীপের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা খাল, সেখানে দেখা মেলে নানা প্রজাতির হাজারো পাখির। এখানকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য সবার চোখ জুড়িয়ে দেবে।

পটুয়াখালীর সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলে সোনার চরের অবস্থান। জেলার গলাচিপা উপজেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ নদের মোহনায় বঙ্গোপসাগরে দ্বীপটির অবস্থান। সোনার চর পূর্ব-পশ্চিমে ৪ কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে আড়াই কিলোমিটার। চরটির মোট আয়তন ১০ বর্গকিলোমিটার।

সোনার চরে সুন্দরবনের ‘গন্ধ’

সারা বছরই সকাল-দুপুর-বিকেল পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা দ্বীপ। নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়েছে চারপাশে। সূর্যের আলোয় চিকচিক করে বালি। প্রকৃতির সাজে সজ্জিত এই দ্বীপটিতে উড়ে আসা অতিথি পাখিদের কলকাকলি সমুদ্র সৈকতের অপরূপ রূপকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। আর শোনা যায় ঝাউ বাগানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা বাতাসের শোঁ-শোঁ শব্দ। সবসময় পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে এখানে, তবে সংখ্যাটা খুবই কম। তবে শীত মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে। পর্যটকরা সবুজ এই চরটির একদিকের বন ও অন্য দিকের নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখে বলতে পারবে অদ্ভুতদর্শন—এক সঙ্গে সুন্দরবন এবং কুয়াকাটা বা সেন্টমার্টিন!

নগরের কর্মচাঞ্চল্য থেকে বহুদূরে এই সৈকতের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এখনো অনেকের কাছে অজানা। মূলত কাঙ্ক্ষিত সেবা আর যাতায়াত সমস্যার কারণে এখনো পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়নি বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি।

সমুদ্রের নীল পানি

নির্দেশনা

পটুয়াখালী থেকে দ্বীপরাজ্য রাঙ্গাবালী হয়ে আপনাকে জলযানে পৌঁছাতে হবে সোনারচরে। রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হবে গহিনখালী লঞ্চঘাট। সেখান থেকে লঞ্চযোগে প্রায় একঘণ্টার নৌপথ পাড়ি দিয়ে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন। চরমোন্তাজ থেকে ট্রলারযোগে আরো একঘণ্টার পথ পেরিয়ে দেখা মেলে সোনারচরের।

এখানে রাত কাটানোর জন্য সঙ্গে তাবু নেবেন। খাবার দাবারের ব্যবস্থা চর কুকরি-মুকরি থেকেই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে! এছাড়া উপজেলা পরিষদ ভবনে অনুমতি সাপেক্ষে থাকা যায়। এছাড়া রাত কাটানো যাবে বনবিভাগের অফিসার’স কোয়ার্টার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি কিংবা খোলা মাঠে তাবু পেতে। খাওয়া-দাওয়ার কোনো চিন্তা নেই। বাজারের হোটেলে অর্ডার দিলেই তাজা মাছের সঙ্গে দেশি মুরগি সহজেই পেয়ে যাবেন, দামও হাতের নাগালে।