• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?

নদী-খাল পাড়ে রোপণ হবে ১০ লাখ গাছের চারা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী-খালপাড় ছাড়াও বাঁধ ও অন্য ফাঁকা জায়গায় ১০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

সোমবার (১০ আগস্ট) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জুলাই ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২০’ উদ্বোধন করে দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে যাতে বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এক কোটি গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। এই বৃক্ষরোপণের ফলে একদিকে যেমন দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে দেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টিচাহিদা মেটাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রতিপালনের লক্ষ্যে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর অধীন দফতর ও সংস্থার অফিসপ্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি, বিশেষত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের নদী-খালপাড় ছাড়াও বাঁধ ও অন্য ফাঁকা জায়গায় বনজ, ফলজ ও ভেষজ গাছ রোপণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় কেবল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯টি বিভাগের অধীনে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটারে মোট ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে।

জাহিদ ফারুক বলেন, রোপণকৃত এসব গাছের সঠিক পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা এবং অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তারা আগামী ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট দুই ধাপে দেশের সকল জেলায় বৃক্ষরোপণ কাজ তদারকি করবেন। আমি এবং উপমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জেলার উন্নয়ন সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবদেরও অনুরোধ জানিয়েছি। জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক সকলের সাথে সমন্বয় রেখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে সফল করবেন বলে আমার বিশ্বাস। এছাড়াও জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্য, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের ভূ-প্রকৃতির অবস্থা, পরিবেশ-প্রতিবেশের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বৃক্ষরোপণের জন্য বনবিভাগের সাথে পরামর্শ করে বৃক্ষের প্রজাতি নির্ধারণ করেছি। এক্ষেত্রে পাখিদের আহার ও বাসস্থানের উপযোগিতা, ছায়াদানকারী ক্যানোপি (পাতার বিস্তার) সৃষ্টি, লবণাক্ত পানির সহিষ্ণুতা, হাওর অঞ্চলের উপযোগিতা- এসব বিষয় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।