• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?

অসুস্থ রিজভীর পাশে নেই বিএনপি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০  

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে দ্বিতীয় বারের মতো চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  তবে তার অসুস্থতা নিয়ে দলের মধ্যে নেই কোনো উদ্বেগ।

জানা গেছে, রিজভী অসুস্থ হওয়ার পর তাকে আর্থিক সহায়তা তো দূরের কথা, বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতা তার খোঁজখবরই নেয়নি। রিজভীর চিকিৎসা খরচ কীভাবে জোগাড় হবে বা তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির নেই কোনো মাথাব্যথা।

রিজভীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দল পরিচালনায় দ্বিমুখী চাপের পাশাপাশি পদ, মনোনয়ন ও বাণিজ্য নিয়ে এ জ্যেষ্ঠ নেতার ওপর দলের নীতিনির্ধারক মহলের ছিল দারুণ চাপ। একদিকে তারেক রহমানের নানা বিতর্কিত নির্দেশ, অন্যদিকে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিভিন্ন উদ্ভট সিদ্ধান্ত। দুজনের এ দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত রিজভীর জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো হয়ে দাঁড়ায়। তাদের সিদ্ধান্তের মাঝখানে পড়ে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিজভী।

তাদের মতে, তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রিজভীকে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতে হতো। আর এতে অনেক সিনিয়র নেতা সরাসরি প্রশংসা করলেও পেছনে পেছনে তা নিয়ে চলে তুমুল সমালোচনা। এ নিয়েও রিজভীর ছিল উদ্বেগ।

সব মিলিয়ে বিএনপির সর্বোপরি দীর্ঘ ব্যর্থতা, অন্য নেতাদের গা ছাড়া ভাব, তারেক রহমানের দুর্ব্যবহার ও পদচ্যুতির হুমকিতে দারুণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের এ জ্যেষ্ঠ নেতা। 

জানতে চাইলে পরিচয় গোপন করার শর্তে বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, এটাই বিএনপির রাজনীতি। যখন একজন নেতা অসুস্থ হন, তখন তার খবর কেউই রাখেন না। 

তিনি বলেন, এর আগে স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু দলের কোনো সিনিয়র নেতা খোঁজ নেননি। বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলাম মিয়া এবং এম কে আনোয়ার দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। দলের নেতারা তার খবর রাখেননি। মান্নান ভূঁইয়ার মতো নেতার মৃত্যুর পরও বিএনপি নেতাদের কেউই কিছু করেনি।