• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?

রিজিকের পেরেশানি আর নয়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোন প্রাণী ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যতক্ষণ না তার জন্য বরাদ্দ জীবিকা শেষ হয়; যদিও তা পেতে দেরি হয়। সুতরাং তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো এবং জীবিকা সন্ধানে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো। যা হালাল তা গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো।’ [সুনানু ইবনি মাজাহ: ২১৪৪] 

অতএব, রিজিকের ব্যাপারে খুব বেশি চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। হতাশ হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আমাদের জন্য বরাদ্দ রিজিক আমরা পাবই- সেটা যেকোনো উপায়েই হোক-না কেন। তবে, সেই সময়টার জন্য সবর করতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্য তিনি (সমস্যা থেকে) বের হওয়ার উপায় করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। আর যে আল্লাহর উপর ভরসা করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক কাজের জন্য একটি (নির্দিষ্ট) পরিমাণ ঠিক করে রেখেছেন।’ [সুরা তালাক : ২-৩]

যতটুকু রিজিক হলে জীবন চলে যাবে, ততটুকু থেকে আল্লাহ কাউকে বঞ্চিত করেন না। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটানোর জন্য বা বিলাসিতার জন্য মানুষ রিজিক নিয়ে বেশি অভিযোগ করে এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে সীমালঙ্ঘন করে। সুতরাং, হে আদম সন্তান! তুমি রিজিকের ব্যাপারে সবর করো। দুনিয়াতে যা কামাই করবে, তার এক পয়সাও কবরে নিতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সেই ব্যক্তি প্রকৃত সফল, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, আর তাকে জীবন ধারণে (অভাবও নয়; বিলাসও নয়) পর্যাপ্ত পরিমাণ রিজিক দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে সে তুষ্ট থেকেছে।’ [সহিহ মুসলিম : ২৪৭৩, সুনানুত তিরমিযি: ২৩৪৮]

অতএব, রিজিকের পেরেশানিতে আল্লাহকে ভুলে যেও না। অভাবে পতিত হলে আল্লাহর কাছেই ফিরে যাও। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়, এরপর তা সে মানুষের কাছে সোপর্দ করে (অভাব দূরীকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়), তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে অভাবে পতিত হয়ে এর প্রতিকারে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হয়, তবে অনিতবিলম্বে আল্লাহ তাকে তরিৎ বা ধীর রিজিক দেন।’ [সুনানুত তিরমিযি : ২৮৯৬, মুসনাদ আহমদ : ৪২১৮]