পবিত্র কুরবানি ও জিলহজ মাসের ফজিলত
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২০
আরবি বারো মাসের সর্বশেষ মাস জিলহজ মাস। এ মাসটি বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস। এ পবিত্র মাসের ১০ তারিখে কুরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর প্রিয় বান্দা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে।
আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর হজ পালন ও পশু কুরবানি করে থাকে। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তার পুরো পরিবারের নজিরবিহীন কুরবানির ইতিহাস মানুষকে যে ত্যাগের শিক্ষা দেয়, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন মুমিন তার সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত থাকে।
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামা এবং তার প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম এবং মা হাজেরার আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশগুলোকে আল্লাহ তাআলা হজের অংশ হিসেবে গণ্য করেছেন।
এই হজ ও কুরবানি সম্পন্ন করার মাস জিলহজ। যার ফলে ইসলামে জিলহজ মাসের গুরুত্ব অতি ব্যাপক।
প্রসিদ্ধ হাদিস বিশারদ হজরত ইবনে হাজার আসকালানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, জিলহজের প্রথম দশটি দিনের বিশেষ গুরুত্বের কারণ হলো- এ দিনগুলোতে ইসলামের পাঁচটি রোকনের সমাহার রয়েছে। যেমন- ঈমান ও সালাত অন্য দিনগুলোর মতো এদিন গুলোতেও বিদ্যমান।
জাকাত বছরের অন্য যে কোনো সময়ের মতো এ সময়েও প্রদান করা যায়। আরাফার দিনে রোজার নির্দেশনার ফলে ইসলামের আরেকটি রোকন- রোজার দৃষ্টান্তও এই দশকে পাওয়া যায়।
ইসলামের পঞ্চম রোকন হজ। যা এ মাসের প্রথম দশকের ৯ তারিখই নির্ধারিত।
অন্যদিকে কুরবানির বিধান তো কেবল এই দশকেই পালনযোগ্য। তাছাড়া এই দশকেই রয়েছে আরাফা ও কুরবানির দিন।
আবু দাউদ ও নাসাঈর বর্ণনা অনুযায়ী, আরাফার দিনের দোয়াকে শ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়েছে। আর কুরবানির দিনকেও বছরের সেরা দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং মাস হিসেবে রমজান আর দিন হিসেবে হজের মাস জিলহজের প্রথম দশক শ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ। সুরা হজ-এর ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
‘তারা আল্লাহর নামের স্মরণ করে নির্দিষ্ট দিনসমূহে।’
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, নির্দিষ্ট দিন বলতে এখানে জিলহজ মাসের প্রথম দশককে বুঝানো হয়েছে। (ইবনে কাসির)
এ মাসের নবম দিন ও রাত আল্লাহর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই দিনটি আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় অবস্থানের রাত।
বিশেষ করে
৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন যে, এ দিনের রোজা পালনকারীর বিগত এক বছর এবং আগাম (সামনের) এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। যেভাবে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে আরাফার দিনের রোজা রাখল অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তার এক বছর আগের এবং এক বছর পরের তথা দুই বছরের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
তবে যারা হজ আদায়ে ওই দিন আরাফায় থাকবেন তাদের জন্য এই বিধান নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফাহ থেকে এই রোজা রাখেননি।
আরাফায় যারা অবস্থান করবেন তারা যদি রোজা রাখেন তাহলে হয়তো অন্যান্য যে ইবাদত-বন্দেগি রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে তাদের কষ্ট হতে পারে। তাই আরাফায় যারা অবস্থান করবেন তাদের জন্য রোজা না রাখাটাই শ্রেয়।
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘এমন কোনো দিন নেই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য।’ (তিরমিজি)
মূলত যারা হজে যান তারা জিলহজ মাসের প্রথম দশকে বিশেষ ইবাদতে রত থেকে অতিবাহিত করারই চেষ্টা করে থাকেন।
তাই দেখা যায় ৮ই জিলহজ সকাল থেকেই আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তালবিয়া পাঠ করতে করতে হাজিগণ মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান।
হজরত সহল ইবনে সাআদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘একজন হজযাত্রী যখন তালবিয়া পাঠ করেন তখন তার আশ-পাশের পাথর-নুড়ি, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষলতা সবকিছুই সেই তালবিয়া পাঠে শরিক হয়।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
৯ জিলহজ আরাফার দিন। এ দিন আরাফার ময়দানে অবস্থান করা হজের সবচেয়ে বড় রোকন। এর মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসে এসেছে-
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ’আরাফার দিনের মতো অন্য কোনো কোনো দিন আল্লাহ এত অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না। সেদিন তিনি দুনিয়ার কাছাকাছি হয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করে বলেন, দেখ! আমার বান্দারা এলোমেলো চুল ও ধূলিধূসরিত শরীরে আমার দরবারে আগমন করেছে। লাব্বাইকা বলে চিৎকার করছে। তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিলাম।’
- অন্য হাদিসে এসেছে, শয়তান আরাফার দিন সবচেয়ে বেশি ধিকৃত, অপদস্থ ও ক্রোধান্বিত হয়। কেননা সে তখন আল্লাহর অধিক রহমত এবং বান্দার পাপ মোচন দেখতে পায়।’ (মেশকাত)
জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে হাদিসের অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। তাহলো-
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানি করতে চায়, সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে।’ (ইবনে মাজাহ)
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ের (সগিরা) পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ দিন গুলোতে অধিকহারে তাকবির ইত্যাদি পাঠ করা উচিত। হাদিসে এসেছে-
- হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অতএব তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) এবং তাহমিদ (আল-হামদু লিল্লাহ) পড়বে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
- হজরত ইবনে ওমর ও হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ আনহুমা এ দিনগুলোতে বাজারে যেতেন এবং বেশি বেশি তাকবির পাঠ করতেন, যাতে লোকেরা তাদের থেকে শিখতে পারে।’ (বুখারি)
-বুখারির বর্ণনা থেকে বুঝা যায়, নেক আমলের মৌসুম হিসেবে জিলহজ মাসের প্রথম দশক হল সর্বোত্তম সময়। এ দিনগুলোয় সম্পাদিত নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।
হাদিসের কোনো কোনো বর্ণনায় সর্বাধিক প্রিয় শব্দ এসেছে আবার কোনো কোনো বর্ণনায় সর্বোত্তম শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জিলহজ মাসের বরকত থেকে কল্যাণ মণ্ডিত হওয়ার সৌভাগ্য দান করুন এবং আমাদের কুরবানি গ্রহণ করুন। আমিন।
- উপজেলা নির্বাচন :বরিশালে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ
- ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা
- প্রেশার কমে যাচ্ছে, যা করবেন
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ভাত নাকি রুটি খাবেন?
- সহজ রেসিপিতে কোল্ড কফি বানাবেন যেভাবে
- বুধবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- পুলিশের এসবি পরিচয়ে টাকা আদায়, জড়িত আনসার-কর্মকর্তারাও
- বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
- বজ্রপাতে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় কারিগরি ত্রুটি
- এসির গ্যাস লিক হতে পারে যেসব কারণে
- বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে কাজ করছি
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
- বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা
- অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ
- নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা
- নকলের অভিযোগ, জবাব দিলেন ‘জংলি’র পরিচালক
- গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বরিশালে এসে পৌঁছেছে বিজিবি
- দীর্ঘদিন বরিশালে কোনো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি: বিসিসি মেয়র
- বাবুগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৫ লক্ষ টাকার জাল জব্দ
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শীর্ষক মতবিনিময়
- অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান
- শরীয়তপুরে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ
- অবৈধ টিভি চ্যানেল ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ শুরু
- স্যান্ডউইচ খেয়ে হাসপাতালে ৫৬০ জন
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা