• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?

উত্তম রিজিক লাভে হজরত ঈসা (আ.) যে দোয়া করতেন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২১  

সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা আমাদের পালন কর্তা, রিজিকদাতা। আমাদের সব ভালো মন্দের জান্তা তিনি। বান্দার জন্য সর্বোত্তম রিজিকের ব্যবস্থা তিনি আগেই করে রাখেন। তিনিই মানুষকে রিজিক দেন এবং রিজিকে বরকত দেন। 

আল-কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রিজিক দান করেন এবং তিনি প্রবল পরাক্রান্ত’। (সূরা যারিয়াত : আয়াত ৫৮)। আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি জগতের সকল কিছুকে রিযিক প্রদান করছেন। তিনিই উত্তম রিযিকদাতা। আল-কোরআনে এই বিশেষত্বটি এভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে, ‘মারয়াম তনয় ঈসা বলল, হে আল্লাহ, আমাদের প্রতিপালক। আমাদের জন্য আসমান হতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্জা দান করুন, তা আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকলের জন্য আনন্দ উৎসব এবং তোমার নিকট হতে নিদর্শনস্বরূপ হবে এবং আমাদেরকে রিযিক দান করুন আপনিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকা দানকারী। (সূরা মায়েদা : আয়াত ১১৪)। তোমাদের জন্য রিজিক বা জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। আর তোমরা যাদের জীবিকদাতা নও তাদের জন্যও। (সূরা হিজর : আয়াত ২০)।

একজন মুমিনের উচিত উত্তম রিজিকের জন্য সবসময় আমল করা। হজরত ঈসা (আ.) নিজের জন্য এবং আগের ও পরের সবার জন্য উত্তম রিজিক পেতে দোয়া করেছিলেন।

দোয়াটি আল্লাহর তাআলার এতই পছন্দনীয় হয়ে যায় যে, তিনি মানুষকে অভাবমুক্ত রাখার জন্য সে দোয়াটি কোরআনে তুলে ধরেছেন। সুতরাং অভাব মোচনে এবং উত্তম রিজিক পেতে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। তাহলো-

اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনযিল আলাইনা মায়িদাতাম মিনাস সামায়ি তাকুনু লানা ঈদাল্লি আওওয়ালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়া আয়াতাম মিনকা ওয়ারযুকনা ওয়া আনতা খায়রুর রাযিকিন।’ (সুরা মায়েদা: আয়াত ১১৪)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আমাদের পালনকর্তা! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্য আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রিজিক দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রিজিকদাতা।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। অভাব থেকে মুক্তি ও উত্তম রিজিক পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।